তার বলে তেমন সুইং নেই। ভালো বাউন্স কিংবা বোলিংয়ে ভ্যারিয়েশন আনতেও খুব একটা পারদর্শী নন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন আগেও ট্রল হয়েছিলেন তিনি। ইবাদত হোসেনকে সমালোচকরা নাম দিয়েছিলেন ‘রাইট হ্যান্ড বল থ্রোয়ার’!
আর সেই এবাদতেই কাটা পড়ল কিউইরা। আগের দিন ৪ উইকেট নেওয়া এবাদত শেষ দিনেও নায়ক। ৪৬ রানে তার শিকার ৬ উইকেট। দেশের বাইরে টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। তার হাত ধরে প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ ম্যাচ পর টেস্টে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের কোনো পেসার।
এবাদতের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই।
টম লাথামের দলকে ৮ উইকেটে হারাল মুমিনুল বাহিনী। ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ এবাদত হোসেন।
ম্যাচ জয়ের প্রতিক্রিয়ায় এবাদত বলেন, ‘প্রথমে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। দ্বিতীয়ত, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আমারা গত ২১ বছরে জয় পাইনি। আমরা এবার একটা লক্ষ্য স্থির করেছি। আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করেছি। নিউজিল্যান্ডকে আমাদের হারাতেই হবে। আরেকটা জিনিস—নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। যদি আমরা এগিয়ে এসে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারি তাদের মাটিতে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মও জানবে—তারাও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে।’
এবাদত আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে আমি ওটিস গিবসনের সাথে অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছি। তিনি আমাদের সহায়তা করছেন। আমাদের ঘরের কন্ডিশন সবসময়ই ফ্ল্যাট থাকে। আমরা তেমন সহায়তা পাই না। আমরা এখনও শিখছি কিভাবে বোলিং করতে হয় এবং দেশের বাইরের কন্ডিশনে রিভার্স করতে হয়। আমি স্টাম্পের উপরে আঘাত করার চেষ্টা করছি। ধৈর্য ধরে বল করে গেছি। সফলতা পেয়েছি।’
এবাদত জানান, ‘আমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন সৈনিক তাই স্যালুট করতে জানি। ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসা দীর্ঘ একটি গল্প । আমি ক্রিকেট উপভোগ করছি, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করছি।’