বল দখল কিংবা আক্রমণ- দুই বিভাগেই ল্যাজিও’র সঙ্গে পায়ে পায়ে লড়াই করে এসি মিলান। তবে কার্যকরী আক্রমণে বড় জয় পায় মাউরিজিও সারির দল ল্যাজিও। মঙ্গলবার রাতে অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে ইতালিয়ান সিরি আ’র ম্যাচে এসি মিলানকে ৪-০ গোলে হারায় স্বাগতিকরা। এই জয়ে নিজেদের ৪৯ বছরের পুরনো রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি করে ল্যাজিও।
ম্যাচের ৪র্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ল্যাজিও। ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মাতিয়া জাক্কাগনির পাসে গোলটি করেন সার্বিয়ান তারকা সার্গেজ মিলিনকোভিচ-সেভিচ। ৩৮তম মিনিটে নিজেই লক্ষ্যভেদ করেন জাক্কাগনি। ৬৭তম মিনিটে সফল স্পটকিকে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ল্যাজিও’র স্প্যানিশ মিডফিল্ডার লুইস আলবার্তো। আর ৭৫তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ফিলিপে অ্যান্ডারসন। এসি মিলানকে কোনো গোল না করতে দিয়েই মূলত রেকর্ডটি গড়েছে ল্যাজিও। ইতালিয়ান সিরি আ’র চলতি মৌসুমে দলটির ১১তম ক্লিট শিট এটি।
সবশেষ ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে এই কীর্তিটি দেখায় ল্যাজিও।
এদিকে তিন বছরেরও বেশি সময় পর ইতালিয়ান সিরি আ’র কোনো ম্যাচে ন্যূনতম ৪ গোল হজম করলো এসি মিলান। সবশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আতালান্তার বিপক্ষে ৫-০ গোল হজম করেছিল সান সিরোর দলটি। বাজে হারে হতাশ এসি মিলান কোচ স্টেফানো পিওলি। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্রুত মিলানেলোতে (এসি মিলানের ট্রেনিং গ্রাউন্ড) ফিরতে হবে। ভালোভাবে কাজ করতে হবে। কারণ স্পষ্টত আমরা নিজেদের মানের খেলাটা দেখাতে পারছি না।’
পিওলি বলেন, ‘এই মুহূর্তে অনেক কিছুই কাজ করছে না। আমাদের মানসিক এবং কৌশলগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি আমরা, যা নিয়ে আরও কাজ করা উচিত ছিল।’
ল্যাজিও’র মাঠে হেরে স্টেফানো পিওলি এতটাই হতাশ যে পোস্ট ম্যাচ ইন্টারভিউ দিতেও অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন কথা বলছি, কারণ আমার বলতেই হবে। আমাদের এখন শুধুই চুপ থেকে কাজ করার সময়।’
১৯ ম্যাচে ১২ জয় ও ৬ হারে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে সিরি আ টেবিলের চতুর্থ দল ল্যাজিও। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এসি মিলান। শীর্ষে থাকা নাপোলির পয়েন্ট ৫০।