মুসলিম আবিষ্কার
রোবটিকসের জনক মুসলিম বিজ্ঞানী আলজাজারির অভূতপূর্ণ আবিষ্কার ‘এলিফ্যান্ট ক্লক’ বা হাতি ঘড়ি। এর যান্ত্রিক অংশগুলো ভারতীয় জলযন্ত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো হয়েছিল। এই জলযন্ত্রের সঙ্গে ছিল একটি মিসরীয় ফিনিকস (মিসরীয় কাল্পনিক পাখি), গ্রিক হাইড্রোলিক প্রযুক্তি, চীনা ড্রাগন, একটি ভারতীয় হাতি এবং আর দেশীয় জামাকাপড় পরা তিনটি মনুষ্য কাঠামো।
এই ঘড়িতে ভারতীয় ঘটিকা যন্ত্রের মতো একটি পাত্র ছিল, যা আরেকটি বড় পানির পাত্রে রাখা হতো।
ছোট পাত্রটির নিচে একটি ছোট ছিদ্র করা হতো, যাতে করে এটির মধ্যে ধীরে ধীরে পানি ঢুকতে পারে এবং এটি বড় পাত্রের পানিতে ডুবে যেত। প্রতি আধ ঘণ্টায় এই ঘড়িটি শব্দ করত এবং এর যান্ত্রিক অংশগুলো নড়াচড়া করা শুরু করত। ঘড়ির ওপরের দিকের একটি বল নিচে গড়িয়ে একটি ঘণ্টার কাঁটায় গিয়ে ধাক্কা দিত এবং এর সামনে থাকা একটি পুতুল তার হাতের লাঠির সাহায্যে সঠিক সময়টা দেখাতে পারত। এর পর বলটি নিচে পড়ে যেত এবং হাতির ওপরে থাকা মানুষের ঝাঁঝরি তার পাশে থাকা একটি তামার পাত্রে গিয়ে ধাক্কা খেত, যার কারণে জোরে শব্দ শোনা যেত।