ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানি অস্ত্র পাঠাতে চায় ইউক্রেনে। এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে ইরানের মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধেই। যদিও বিষয়টি ইরানের সম্মতিতে হচ্ছে না। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির জন্য পাঠানো যেসব ইরানি অস্ত্র পশ্চিমাদের হাতে জব্দ হয়েছে, সেগুলোই এবার ইউক্রেনকে দিতে চায় তারা। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে একটি ‘বৈধ পদ্ধতি’ খুঁজছে জো বাইডেন প্রশাসন। মঙ্গলবার এক রিপোর্টে এ খবর দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
একাধিক মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিয়ম-নীতির মধ্যে কোনো ফাঁক আছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। সেই আইনের ফাঁককে ব্যবহার করে ইরানি রাইফেল, রকেট এবং গোলা ইউক্রেনে পাঠাতে চায় দেশটি। প্রায়ই ইরান থেকে ইয়েমেনে যাওয়ার পথে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ হয় পশ্চিমাদের হাতে। এসব অস্ত্র পাঠানো হয় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে। তার যে অংশটি পশ্চিমারা সমুদ্রের মাঝ থেকে জব্দ করতে সক্ষম হয়, তাই এখন কিয়েভকে দেয়া হবে।
এটি শুধু ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্যই না বরঞ্চ তারা ইরানকে এক ধরণের প্রতীকী শাস্তি দিতে চায়।
তারই অস্ত্র দিয়ে তার মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ হবে এখন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এটি ইরানের জন্য একটি বার্তা। দেশটি তার এক মিত্রকে সহায়তা করতে যে অস্ত্র পাঠিয়েছিল, তাই এখন তার আরেক মিত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পশ্চিমাদের কাছে এখন ৫ হাজার রাইফেল, ১৬ লাখ গুলি এবং ব্যাপক পরিমাণ এন্টি-ট্যাংক রকেট রয়েছে যা ইরান থেকে জব্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি ওমান সাগর থেকে অন্তত তিনটি ইরানি নৌকা আটক করে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের নৌবাহিনী। এতেই এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ছিল। বিষয়টি নিয়ে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গেও কথা বলেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। হুতির ডেপুটি তথ্যমন্ত্রী নাসর আল-দিন আমির বলেন, এই অস্ত্র ইউক্রেনকে দিয়ে কি এমন পরিবর্তন আসবে! তারা এমনিতেই এর থেকে ভারী অস্ত্র ইউক্রেনকে দিচ্ছে।