ইউক্রেনে জোর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। কিরোভোহরাড অঞ্চলের গভর্নর বলেছেন, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রোপিভনিতস্কি’তে একটি ফ্লাইট স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে নিহত হয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন ২৫ জন। অন্যদিকে খারকিভের মেয়র বলেছেন, এখন সেখানে আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। জবাবে বৃটিশ প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা বলেছেন, খারসনে পাল্টা জবাব দিতে শক্তি সঞ্চয় করছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরের একটি সেতুতে দূরপাল্লার রকেট হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ওই সেতুটি আর কার্যকর নেই। এ অবস্থায় বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খারসনকে রাশিয়ার দখলীকৃত অন্য অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন বলে মন্তব্য করেছে। এই শহরটি প্রথমে রাশিয়ান বাহিনীর দখলে গিয়েছিল।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ওদিকে রাশিয়ার হামলার জবাবে খারসনের রাশিয়ানপন্থি কর্মকর্তারা বলেছেন, হামলায় বেশকিছু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি ওলেনা জেলেনস্কা বিবিসিকে বলেছেন, আগ্রাসনের ফলে অব্যাহত হতাশার মধ্যে রয়েছে তার দেশ। তা ছাড়া এই যুদ্ধের কারণে প্রেসিডেন্ট ও তার স্বামী ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার ভালবাসা আরও দৃঢ় হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওলেনা। ওদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একজন নারী সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ওই সাংবাদিক ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মানিত করেছেন বলে আদালত প্রমাণ পেয়েছে।