Thursday, April 18, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকআসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতবেন এরদোগান! 

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতবেন এরদোগান! 

গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ না কাটতেই নতুন এক ভূমিকম্পের আঘাতের মুখে পড়েছিল এরদোগান। বিরোধী ছয় রাজনৈতিক দল মিলে এরদোগানকে হটানোর জন্য একযোগ হয়েছিল। 

তবে এরদোগানের জন্য সুখবর যে, বিরোধী ছয় দলের জোট থেকে সরে গিয়েছে একটি দল।   
এর জেরেই ধারণা করা হচ্ছে, এবার আরও একবার আসন্ন ১৪মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন ২১ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতায় থাকা রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। 

প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতৃত্বে ৬টি দলকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স বা টেবিল অব সিক্স। ধারণা করা হচ্ছিল, দীর্ঘদিনের শাসন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং ৬ দলের অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী জোটের কারণে এবারই প্রথম সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন এরদোগান। 

গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের জন্যও তার সরকারের নীতিকে দায়ী করা হচ্ছিল।  অনেকেই বলছেন, বিধ্বংসী এই ভূমিকম্প আগামী নির্বাচনে এরদোগানের জন্য আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তবে আপাতত ক্ষমতাসীন একে পার্টির জন্য স্বস্তির খবর হলো- সিএইচপির নেতৃত্বাধীন জোটে ইতোমধ্যে ভাঙন ধরেছে। শুক্রবার জোটের অন্যতম শরিক গুড পার্টি (আইপি) জোট থেকে বেরিয়ে গেছে। এতে ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স এখন ৫ দলের জোটে পরিণত হয়েছে, যেখানে সিএইচপি-ই একমাত্র বড় দল।

ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুড পার্টির চেয়ারপারসন মেরাল আকসেনার শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তার দলের পক্ষ থেকে আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াভাস এবং ইস্তান্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগ্লুর নাম প্রস্তাব করা হয় এবং আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে যে কোনো একজনকে বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু জোটের অন্য শরিকরা আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ৬ দলীয় জোটে আর জাতীয় স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব বলে কিছু নেই। তবে জোট ছাড়ার অর্থ এই নয় যে, জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। বরং আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের সমালোচনা অব্যাহত থাকবে।

অপরদিকে জোটের বাকি ৫ দলের পক্ষ থেকে সিএইচপি প্রধান কামাল কিলিচদারোগ্লুকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে আর কোন অঘটন না ঘটলে ১৪ মে এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন কিলিচদারোগ্লু।

অন্যদিকে গুড পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা দুই রাজনীতিক অর্থাৎ ইস্তান্বুল ও আঙ্কারার মেয়র শুক্রবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তারা বর্তমানে ৫ দলীয় বিরোধী ব্লকের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কিলিচদারোগ্লুর পক্ষে কাজ করে যাবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments