Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeখেলাধুলাঅস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আর দেখা যাবে না ফিঞ্চকে

অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আর দেখা যাবে না ফিঞ্চকে

টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটকে আগেই বিদায় জানিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। চালিয়ে যাচ্ছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এবার সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার সফলতম অধিনায়ক।

ঘরের মাঠে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপর ফিঞ্চের অবসরের গুঞ্জন ওঠে। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আরও প্রায় দেড় বছর পর। ফিঞ্চ তবু বলেছিলেন, বিগ ব্যাশের সময় তিনি নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে ভাববেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে ফিঞ্চ বলেন, ‘আমি বিগ ব্যাশটা খেলতে চেয়েছি এবং এরপর ভেবে দেখতে চেয়েছি। বিগ ব্যাশের একটি ম্যাচের পর আমার শরীরে ব্যথা হচ্ছিল। এটা ঠিক হতে দুই দিন সময় লেগেছে। (মেলবোর্ন রেনেগেডসের কোচ) ম্যাকডোনাল্ড আমাকে বলেছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সময় নাও, বিষয়টি নিয়ে ভাবো।

এটা আবেগী কোনো বিষয় নয়।’

ফিঞ্চ বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে অনেক ভেবেছি। সবাই এখন ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেকে আমি সেখানে দেখতে পাচ্ছি না। ১২ বছর খেলতে পারার জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমি মনে করি, দল এখন খুব ভালো অবস্থায় আছে। এখন আমি চলে যেতে পারি। ২০২৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি খেলতে পারব না বোঝার পর মনে হলো সরে দাঁড়ানোর সঠিক সময় এখন।’

শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফিঞ্চ বলেন, ‘আমার পরিবার, বিশেষ করে স্ত্রী অ্যামি, আমার সব সতীর্থ, ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে যেতে সহায়তা করায়। সব ভক্ত-সমর্থকদের প্রতিও অনেক কৃতজ্ঞতা, যারা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পুরোটায় আমার পাশে থেকেছেন।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান অ্যারন ফিঞ্চ। 

২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল অ্যারন ফিঞ্চের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। দুই বছর বাদে মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। ২০১৮ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট শুরু করেন ফিঞ্চ। সাদা পোশাকে মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এতে ২৭.৮০ গড় এবং ৪৪.৯৮ স্ট্রাইক রেটে ২৭৮ রান করেন ফিঞ্চ। ১৪৬ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১৭ সেঞ্চুরি এবং ৩০ ফিফটিতে ৫৪০৬ রান করেন। আর টি-টোয়েন্টিতে ১০৩ ম্যাচ খেলে ৩৪.২৮ গড় এবং ৮৭.৭৩ স্ট্রাইক রেটে ৩১২০ রান করেন ফিঞ্চ। যা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি রানের রেকর্ড। ২০ ওভারের ক্রিকেটে দুটি সেঞ্চুরি এবং ১৯টি ফিফটি হাঁকান তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটিও তার। ২০১৮ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৬ বলে ১৭২ রান করেছিলেন ফিঞ্চ। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৭৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪০ জয় পেয়েছেন তিনি। ফিঞ্চের সেরা সাফল্য, অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments