রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিজেদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগের নীতি বদলাতে চলেছে কানাডা সরকার। কানাডায় বসবাসকারী প্রবাসী, যাদের সে দেশে স্থায়ী বসবাসের অধিকার রয়েছে (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট), এ বার থেকে তারা চাইলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন।
কানাডার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এমনই দাবি করেছে। এই প্রসঙ্গেই উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশী কানাডায় ‘পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট’-এর আওতায় এসেছেন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে তাদের চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কূটনীতিকদের দাবি, মার্চে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছিলেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সমগ্র বিশ্বের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে মোকাবিলার জন্য কানাডার প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন।
গত সেপ্টেম্বরে কানাডিয়ান আর্মড ফোর্সের তরফে প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, সেনাবাহিনীতে দ্রুত নিয়োগ প্রয়োজন। কানাডায় সেনার লক্ষ্য থাকে বছরে পাঁচ হাজার ৯০০ জনকে নিয়োগ করার। কিন্তু বর্তমানে তার প্রায় অর্ধেক নিয়োগ হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার পরেই টনক নড়ে প্রশাসনের।
রয়াল মিলিটারি কলেজের অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, এর আগে শুধু প্রকৃত নাগরিকদেরই সেনায় নিয়োগের সুবিধা পেতেন। তবে এখন সেই চিত্র পাল্টেছে। সম্প্রতি নিয়োগ নীতি বদেলেছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশও। ১০ বছর কানাডায় পাকাপাকি ভাবে থাকলেই সেখানে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন বিদেশি নাগরিকেরা। সূত্র: সিআইসি নিউজ।