জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মতো ক্ষুদ্র শিল্পীকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করতে যাচ্ছেন সেজন্য। আমি কোনোদিন পুরস্কারের আশায় কাজ করিনি। শুধু দর্শকদের ভালোবাসা চেয়েছি। তবে অবশ্যই এই প্রাপ্তি আমাকে সম্মানিত করেছে। কাজের স্বীকৃতি যদি মেলে তাহলে কাজের প্রতি দায়িত্ব আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কথাগুলো বলছিলেন বরেণ্য অভিনেত্রী ডলি জহুর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় তাকে সম্মানিত করা হচ্ছে এবার। এদিকে এরইমধ্যে অনেকে ডলি জহুরের মতো শিল্পীর এমন সম্মাননাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি তার কানেও পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।
ডলি জহুর মানবজমিনকে বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি অভিনেত্রী। সেটা যেকোনো মাধ্যমে হতে পারে। আমার এই সম্মান প্রাপ্তিতে অঞ্জনার মতো সিনিয়র অভিনেত্রী কেন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। অবশ্যই আমি সামাজিক, বাণিজ্যিক ও জীবনধর্মী চলচ্চিত্রের পরীক্ষিত অভিনেত্রী। অঞ্জনা যাদের নাম বলেছে তারা অবশ্যই সম্মানিত। তবে আজীবন সম্মাননাটা অভিনয়ের গুণগত মান বিচারে দেয়া হয়। অঞ্জনার এমন আচরণ শিল্পীসুলভ নয়। এই ধরনের বিবৃতি দেয়া মানে সম্মানিত জুরি বোর্ডকে অসম্মানিত করা। তাদেরকে হেয় করা। আমার কাজ হলো আমার চরিত্র অনুযায়ী বাস্তবধর্মী কাজ করা এবং সেটা পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। সরকার কাকে পুরস্কারে সম্মানিত করবে সেটা একান্তই তাদের অভিমত। ডলি জহুর আরও বলেন, হতাশা মাঝে মাঝে অনেককে কাণ্ডজ্ঞানহীন করে তোলে। আমার মনে হয় অঞ্জনা এমন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অনেক সময়, বয়স পরিবেশ মনে রাখতে হয়। উদ্ভট সাজসজ্জা করে আকিকা, মুসলমানি এসব অনুষ্ঠানে গিয়ে সস্তা নাচ দিলেই সম্মান বাড়ে না। বরঞ্চ পূর্বের অর্জিত সম্মান ধুলোয় মিশে যায়। আন্তর্জাতিক তকমা যদি কোনো নায়িকার পাশে মানায় তিনি হলেন ববিতা। আজকাল তো সোশ্যাল মিডিয়া হাতের মুঠোয়। যে যা ইচ্ছে বলতে পারছেন। ববিতা, শাবানা, কবরীদের কাতারে তিনি পড়েন কিনা একবার ভাবা উচিত। সারা জীবন তো দ্বিতীয় সারির নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।