চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির ৭ম ব্যালন ডি’অর জয়ের দুই দিন পর অনন্য এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃহস্পতিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৩-২ গোলের জয়ের ম্যাচে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে তিনি ৮০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ম্যাচটিতে তিনি জোড়া গোল করে দলকে জেতান। এরপর থেকে সারাবিশ্ব থেকে ভেসে আসছে অভিনন্দনের জোয়ার।
পুরুষদের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল কার, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে ও রোমারিও উভয়ই বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছেন, তাদের গোলসংখ্যা এক হাজারের বেশি। তবে প্রীতি ম্যাচের গোল বাদ দিলে তাদের গোলসংখ্যা সাতশর ঘরে থাকে। অন্যদিকে আনঅফিসিয়াল পরিসংখ্যানবিদরা দাবি করেন, সাবেক অস্ট্রিয়ান স্ট্রাইকার ইয়োসেফ বিকান কমপক্ষে ৮০৫ গোল নিয়ে এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন। তবে পরিসংখ্যানবিদের হিসেবে ক্যারিয়ার গোলের হিসেবে অফিসিয়ালি আগে থেকেই শীর্ষে রোনালদো।
রোনালদো স্পোর্তিং লিসবন, ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাসের হয়ে ৬৮৬টি ক্লাব গোল করেছেন এবং জাতীয় দল পর্তুগালের জার্সিতে করেছেন ১১৫ গোল। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের মালিক রোনালদোর পেছনে আছেন পেলে (৭৬৯ গোল)। সমান ৭৬১ গোল নিয়ে নিয়ে পরের স্থানে যথাক্রমে আছেন রোমারিও ও ফেরেঙ্ক পুসকাস। সিআর সেভেনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিে গোলসংখ্যা ৭৫৬টি। এমন অর্জনের পর সিআর সেভেনকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন সাবেক ফুটবলাররা।
সাবেক ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড গ্যারি লিনেকার লিখেছেন, ‘সে সন্দেহাতীতভাবে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। অবিশ্বাস্য একজন খেলোয়াড়।’ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা অ্যালান শিয়েরার বলেছেন, ‘চূড়ায় পৌঁছানো খুব কঠিন, কিন্তু সেখানে নিজের জায়গা ধরে রাখাও কঠিন। প্রতিদিন সকালে উঠে আবার প্রস্তুত হতে হবে নিজের কাজটা করার জন্য। সারা বিশ্ব প্রতি সপ্তাহেই এমন একজন তারকার পারফর্ম করতে দেখার জন্য তাকিয়ে থাকে। সে যা করেছে তা অসাধারণ।’ সাবেক ফরাসি সুপারস্টার থিয়ের অঁরি বলেছেন, ‘৮০০ গোলের রেকর্ড ভাঙতে দুই বার জন্মাতে হবে।’