পার্লামেন্টে চতুর্থ দফা অনাস্থা ভোটে রক্ষা পেলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা। আগামী বছর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে একে দেখা হচ্ছে তার সর্বশেষ বড় এক পরীক্ষা হিসেবে। এর আগে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চারদিন পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়। তারপর প্রায়ুত চান-ওচা ও তার মন্ত্রীপরিষদের ১০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হয় শনিবার। এতে প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়ে ২৫৬ ভোট। পক্ষে পড়ে ২০৬ ভোট। ৯ জন এমপি ভোটদানে বিরত ছিলেন। এরপর সরকারের মুখপাত্র থানাকর্ন ওয়াংবুনকংচানা বলেন, কয়েকদিন নিন্দা প্রস্তাবের ওপর বিতর্কের সময় বিরোধীরা যেসব ইস্যু উত্থাপন করেছেন, তার অনেকটাই ছিল ভুল তথ্য। সরকার এই সুযোগ ব্যবহার করে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
এখন তাদের নিন্দা-বিতর্ক শেষ হয়ে গেছে। আমরা তাদেরকে আহ্বান জানাবো জনগণের জন্য, দেশের জন্য আমাদের সঙ্গে কাজ করতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডয়চে ভেলে। এতে বলা হয়, চারদিনের বিতর্কে বিরোধী দলগুলোর প্রধান টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা। পার্লামেন্টের ওই বিতর্ক সরাসরি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ এ সময় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায়।
প্রায়ুত চান-ওচা একই সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ আছে যে, তিনি থাইল্যান্ডের বাজেটের অপব্যবহার করছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সরকারের অবস্থান ও রেকর্ড তুলে ধরেন।