সুদানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তত ১৩ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘ এমন রিপোর্ট প্রকাশ করার পর সুদানের কয়েকশ নারী ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন।
চলতি সপ্তাহ জাতিসংঘ জানায়, রোববার সুদানের রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্ট ভবন ও আশেপাশে গণতন্ত্রের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১৩ জন নারীকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করেছে।
সুদানের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ইউনিটের প্রধান সুলেমা ইশাক আল জাজিরাকে বলেন, তার বিভাগে ১৮-২৭ বছর বয়সী আটজন নারী চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের মধ্যে দুইজনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং অন্যরা পরে আসে। সহিংসতার শিকার নারীর সংখ্যা আরও বেশি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে রোববার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার খার্তুমের জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। এই স্মারকলিপিতে যৌন ও শারীরিক সহিংসতার অভিযোগগুলো তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। সুদানের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৪০টিরও বেশি সংগঠন ও ‘প্রতিরোধ কমিটি এই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করে।
প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও নারী আন্দোলনের পরিচিত মুখ শাহিনজা জামাল আল জাজিরাকে বলেন, সহিংসতা যাতে বন্ধ হয় তার জন্য আমরা চাপ প্রয়োগ করতে এসেছি।
তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।
২০১৯ সালেও সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা খার্তুমের সেনা সদরদপ্তরের সামনে হওয়া বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় ১০০ এর বেশি মানুষ নিহত হন।