ম্যাচজুড়ে দুই তৃতীয়াংশ বল দখলে রাখে এফসি পোর্তো। আক্রমণভাগেও ইন্টার মিলানকে শাসন করে পর্তুগিজ ক্লাবটি। নেরাজ্জুরিদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ শট নেয় পোর্তো। মুহুর্মুহু আক্রমণেও অবশ্য ইন্টারের ডেডলক ভাঙতে পারেনি সার্জিও কনসেওসাও’র দল। রক্ষণ সামলে কাউন্টার অ্যাটাক করে গোল পায়নি সিমন ইনজাগির শিষ্যরাও। বৃহস্পতিবার দো ড্রাগাও স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লীগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি শেষতক গোলশূন্য ড্র হয়। প্রথম লেগে জয়ের সুবাদে ইউসিএলের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে ইন্টার মিলান। আর এতে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটে লা বেনেমাতাদের।
ঘরের মাঠে গোটা ম্যাচে ৭০ শতাংশ বল দখলে রাখে এফসি পোর্তো। প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে ২১টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখে স্বাগতিকরা। বিপরীতে ৩০ শতাংশ বল দখলে রাখা ইন্টার মিলান ১১টি শটের ৫টি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ্য হয়।
গোলশূন্য ড্রয়ের ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বড় ধাক্কা খায় এফসি পোর্তো। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে প্রতিপক্ষকে কড়া ট্যাকেল করে দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া হন পোর্তোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার পেপে।
গত ২২শে ফেব্রুয়ারি সান সিরোয় শেষ ষোলোর প্রথম লেগে এফসি পোর্তোকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিক ইন্টার মিলান। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছিলেন ইন্টারের বেলজিক ফরোয়ার্ড রোমেলো লুকাকু। আর সেই গোলের সুবাদেই দীর্ঘ ১২ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছালো ইন্টার মিলান। সবশেষ ২০১০-১১ মৌসুমে প্রতিযোগিতাটির শেষ আটের টিকিট পেয়েছিল নেরাজ্জুরিরা। সেবার কোয়ার্টারে শালকের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ইন্টার মিলান। সব মিলিয়ে সপ্তমবারের মতো ইউসিএলের কোয়ার্টারে উঠলো সান সিরোর দলটি।
চ্যাম্পিয়নস লীগের নকআউট পর্বে হোমভেন্যুতে নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচে এফসি পোর্তো জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে।