Friday, September 22, 2023
spot_img
Homeসাহিত্যহাসি যেন থেমে না যায়

হাসি যেন থেমে না যায়

আমি পদ্মা ঘাটের দিনমজুরের কথা ভাবছি,
আমি পদ্মার ফেরির কথা বলছি।
পুরনো ফেরিগুলো আগের মতো চলবে না,
ফেরিওয়ালা আগের মতো ফেরি পথে ঘুরবে না।
লঞ্চের ভরাডুবির দৃশ্য আর দেখা যাবে না,
পদ্মার বুক চিরে ভডভড শব্দে লঞ্চ চলবে না।
ইলিশ মাছের পাতলা ঝোলে
এক থালা ভাত আর খাওয়া হবে না।
বাউলিয়ার একতারা সুর বাজবে না,
আবেগী সুরে কেউ বলবে না
লাগবে ঝাল মুড়ি!
হয়তবা পদ্মার মাছ, রকমারি পণ্য, হারিয়ে যাবে।
হাজারও মানুষের মন কিছুক্ষণের জন্য ভেঙে যাবে।
তারপরও কোটি কোটি মানুষের মুখে ফুটবে হাসি,
দক্ষিণ-পশ্চিমে সূর্য ঠিক আগের মতোই উঠবে।
দিন শেষে সন্ধা নেমে সবকিছু মলিন হবে,
খুশির মেলায় ভেসে যাবে সব আবেগ।
এমন একটি সময় 
হাসি যদি না আসে ভাই
আগের মতো করে
কি করে হাসবে তারা?
বল না আমারে।
এরা হেসেছিলো বহু আগে
মনের মতো করে,
সে হাসি ফাঁকি দিয়ে
চলে গেছে সরে।
ভুলে গেছে হাসতে তারা
হাসবে কেমন করে?
যা কিছু ছিল ভালো
সব গেছে আজ সরে,
হাসি এখন আসে না আর
আগের মতো করে।
মনে বড় কষ্ট তাদের
বোঝাবে কি করে।
হাসিতো যে মানুষগুলো পদ্মা নদীর ধারে,
ধরিয়া রাখিও তাদের হাসিটুকু,
যেন তারা অকালে ঝরে না পড়ে!
পদ্মার পাড়ে বাস করছে যারা
ভালো কি আছে তারা?
জানতে মন চায়!
কি লাভ হবে জেনে?
বিবেকে তা কয়।
বাস্তবতা, সবকিছু ভুলিয়ে বিলিয়ে দেবে নিজেকে,
হয়তবা এসব কথা কেউ মনে রাখবে না,
হয়তবা বাকি সব হবে ইতিহাস।
আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি
যদি আসে কোনোদিন
সেই মেহনতি মানুষের মুখে হাসি!
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments