Monday, March 27, 2023
spot_img
Homeধর্মহাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আসল নাম যা ছিল

হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আসল নাম যা ছিল

প্রিয় নবীর প্রিয় দৌহিত্র, নয়নমণি হাসান (রা.) ও হুসাইন (রা.)। তাঁদের ব্যাপারে নবীজি (সা.) বলেছেন, হাসান ও হুসাইন দুজন এই পৃথিবীতে আমার দুটি সুগন্ধময় ফুল। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৭০)

প্রিয় নবীজির এই কলিজার ধনরা জান্নাতি যুবকদের নেতা হবেন। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হাসান ও হুসাইন (রা.) প্রত্যেকেই জান্নাতি যুবকদের সর্দার। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬৮) তাঁদের প্রতি রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে অবসরে তাঁদের দুজনকে বুকে জড়িয়ে রাখতেন এবং যারা তাঁদের ভালোবাসবে তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।

উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক রাতে আমার কোনো প্রয়োজনে নবী (সা.)-এর কাছে গেলাম। অতএব, নবী (সা.) এমন অবস্থায় বাইরে এলেন যে একটা কিছু তাঁর পিঠে জড়ানো ছিল, যা আমি অবগত ছিলাম না। আমি আমার প্রয়োজন সেরে অবসর হয়ে প্রশ্ন করলাম, আপনার দেহের সঙ্গে জড়ানো এটা কী? তিনি পরিধেয় বস্ত্র উন্মুক্ত করলে দেখা গেল তাঁর দুই কোলে হাসান ও হুসাইন (রা.)। তিনি বলেন, ‘এরা দুজন আমার পৌত্র (দৌহিত্র) এবং আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদের দুজনকে ভালোবাসি। সুতরাং তুমি তাদের ভালোবাসো এবং যে ব্যক্তি এদের ভালোবাসবে, তুমি তাদেরও ভালোবাসো।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬৯)

প্রিয় হাবিবের এই দৌহিত্রদের মহান আল্লাহও ভালোবাসতেন। তাইতো আল্লাহর আদেশে হাসান (রা.) ও হুসাইন (রা.)-এর পূর্ব নাম ‘হামজা’ ও ‘জাফর’ পরিবর্তন করে আল্লাহর দেওয়া নাম ‘হাসান’ ও ‘হুসাইন’ রাখা হয়। এ ব্যাপারে আলী (রা.)-এর একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে আলী (রা.) বলেন, “যখন হাসানের জন্ম হলো, তখন তার নাম রাখলাম হামজা। যখন হুসাইন ভূমিষ্ঠ হলো তখন তার নাম রাখলাম জাফর। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে ডাকলেন এবং বলেন, ‘এই দুজনের নাম বদলে দেওয়ার জন্য আমাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।’ আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই এ বিষয়ে ভালো জানেন। অতঃপর তিনি তাদের নাম রাখলেন হাসান ও হুসাইন।” (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৩৭০)

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments