তুমুল জনপ্রিয় গেম ‘লাইফ ইজ স্ট্রেঞ্জ’-এর নির্মাতা ডন্ট নড এবার তৈরি করেছে ‘ব্যানিশার্স : ঘোস্টস অব নিউ ইডেন’। সময়কাল সপ্তদশ শতাব্দী, স্থান উত্তর আমেরিকার কাল্পনিক শহর ‘নিউ ইডেন’। কালো জাদু আর শক্তিশালী ভৌতিক অপশক্তি মিলে শহরবাসীকে কাবু করে ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভয়ংকর অভিশাপের কারণেই ঘটছে এসব অশুভ ঘটনা।
থার্ড পারসন অ্যাকশন আরপিজি ঘরানার গেম ব্যানিশার্স, দুটি চরিত্রকেই কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী ভূত-প্রেতকে করতে হবে পরাস্ত।
মারদাঙ্গা অ্যাকশনের পাশাপাশি গেমের দুনিয়া ঘুরে নতুন এলাকা ও জিনিসপত্র আবিষ্কারও গেমপ্লের বড় অংশ। এর সঙ্গে আছে গেমের চরিত্রগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা বলে ঘটনা বুঝে নেওয়া এবং নতুন তথ্য সংগ্রহ করা। রেড আর অ্যান্তেয়ার মধ্যকার বোঝাপড়াও গেমারকে ডায়ালগ বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হতে পারে। গেমারের নানা সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আসবে, বদলে যাবে গেমের কাহিনি এবং সেটির উপসংহার।
গ্রাফিকসে গেমটি কিছুটা পিছিয়ে আছে। গেমের দুনিয়া সুন্দরভাবে তৈরি করা হলেও, বিভিন্ন চরিত্রের মডেল ও এনিমেশনে রয়ে গেছে ঘাটতি। কাহিনির সময়কালের সঙ্গে কিছু ডায়ালগ ও চরিত্রের ব্যবহারেও আছে অমিল, কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আধুনিকায়নকে বেমানান লাগতে পারে। গেমপ্লেও একসময় বেশ বিরক্তিকর মনে হতে পারে, একই ধরনের শত্রুকে বারবার একই কায়দায় পরাস্ত করতে করতে ক্লান্তি আসাটাই স্বাভাবিক। তবে চমৎকার কাহিনি এবং গেমের চরিত্রগুলোর গভীরতা সাহিত্যপিপাসুদের টেনে রাখবে শেষ পর্যন্ত।
বয়স
গেমটি শুধু বড়দের জন্য।
খেলতে যা যা লাগবে
অন্তত কোর আই৩ ৮৩০০০ বা রাইজেন ৩ ২২০০জি প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম, এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৫০টিআই বা রেডিওন আরএক্স ৫৮০ ৪ গিগাবাইট গ্রাফিক কার্ড এবং ৫২ গিগাবাইট জায়গা।