রেডিও জকি (আরজে) নিরব কারাগারে। স্ত্রী চেষ্টা করছেন স্বামীর কারামুক্তির। তাইতো শত শিল্পীর সামনে স্বামীর জন্য সমর্থন চাইলেন নিরবের স্ত্রী লাবণ্য লিজা, ফেললেন চোখের জল।
সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বাংলাদেশ অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই লাবণ্য সব শিল্পীর উদ্দেশে কথা বলতে চান। কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় তাকে। এর আগে অভিনেতা সাজু খাদেম নিরব সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, সে যদি অপরাধী হয় তাহলে প্রচলিত আইনে শাস্তি হবে, কিন্তু তার প্রতি যেন কোনো অবিচার করা না হয়।
এরপর লাবণ্য মাইক্রোফোনে কথা বলতে শুরু করেন। লাবণ্য বলেন, আমি আপনাদের সমর্থন চাই। নিরব একটা কম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই কম্পানি প্রতারণা করেছে। এ ক্ষেত্রে নিরবের কী দোষ আমি জানি না। তার পরেও আমি বলব, নিরব অপরাধী হলে শাস্তি হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায়বিচার। সে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছে, কেন কোন যুক্তিতে তাকে আটকে রাখা হয়েছে আমি জানি না।
কথা বলার একপর্যায়ে লাবণ্য কেঁদে ফেলেন। কণ্ঠ বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসতে শুরু করে। স্বাভাবিক হয়ে এরপর তিনি শিল্পীদের সমর্থন চেয়ে বলেন, আমি কি আপনাদের সমর্থন পেতে পারি? সকলেই সমস্বরে বলেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি বলেন, আমরা তো সবাই ফেসবুক ব্যবহার করি, সবার স্মার্টফোন আছে। আপনারা কি সকলেই জাস্টিস ফর নিরব হ্যাশট্যাগ লিখতে পারেন?
অবশ্য লাবণ্যর এই চেষ্টা সফল হয়েছে। শিল্পীরা নিরবের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট দিচ্ছেন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের বিপণন বিভাগের প্রধান আরজে হুমায়ুন কবির নীরবকে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ।
প্রতারণার অভিযোগে গত ৭ অক্টোবর এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় আরজে নীরবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় তিনি ৪ নম্বর আসামি।
সে সময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, এক গ্রাহক ৫৬ লাখ টাকার বেশি টাকার পণ্য ক্রয় করে টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তিনি পণ্য হাতে পাননি। পরে কিউকমের অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। এমন অভিযোগে তিনি কিউকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আরজে নীরবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিরবের স্ত্রী লাবণ্য নিজে একজন শিল্পী। গেম রিটার্ন নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া ছোট পর্দায় নিয়মিত দেখা যায় তাঁকে।