আজ ঢাকা তো কাল চট্রগ্রাম। পরশু কক্সবাজার তো তার পরদিন নরসিংদী। এভাবেই চলছে চলতি প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়ার শিডিউল। দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবার পর থেকে দম ফেলার যেন ফুরসত নেই্ এ শিল্পীর। চলতি মার্চে তো কর্ণিয়া প্রায় প্রতিদিনই শো করছেন। এ মাসের ২১ তারিখ কক্সবাজার, ২৪ তারিখ টাঙ্গাইল, ২৫ তারিখ চট্রগ্রামের ফয়েসলেক, ২৬ মার্চ এ গায়িকা নিজের ‘কর্ণিয়া’স গ্যাং’ নিয়ে শো করেছেন নরসিংদীতে। রোযার আগ পর্যন্ত কর্ণিয়ার শিডিউল এমন টানাই। সব মিলিয়ে শো এর ব্যস্ততা তাহলে পুরোদমে চলছে? কর্ণিয়া হেসে বলেন, করোনার পর শো শুরু হওয়ার পর থেকে টানা ব্যস্ততা চলছে।স্বাভাবিক সময়ে আমার বছরজুড়ে এমনিতেও ব্যস্ততা থাকে শোয়ের। তবে করোনার কারণে গত দুই বছরে থেমে থেমে শো করতে হয়েছে। মনে হচ্ছে স্টেজে ফের ছন্দ ফিরছে। এটা আমাদের শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের জন্য সুখবরই বটে। স্টেজের এই ব্যস্ততা কদিন চলতে পারে? শিডিউল কেমন দেয়া আছে? এ গায়িকা বলেন, রমজানে তো শো তেমন হবে না। সেই সময়ে রেকর্ডিং ও টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ততা বাড়বে। আর ঈদের পর আবার শোয়ের ব্যস্ততা শুরু হবে। এরইমধ্যে অনেক অনুষ্ঠান আটকে ছিল করোনা পরিস্থিতির জন্য। এখন সব আয়োজন হচ্ছে। অনেক সময় শিডিউল নিয়ে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে একই দিনে দু-তিনটি শোয়ের শিডিউল পড়ে যাচ্ছে। ঈদের পরও আমার শিডিউল দেয়া আছে শোয়ের। আশা করছি এই ব্যস্ততাটা বছরজুড়ে অব্যহত থাকবে। নতুন গানের কি অবস্থা? কর্ণিয়া বলেন, আমি বেশ কিছু নতুন গান এ বছর প্রকাশ করেছি। আমার স্টাইলের গানই করেছি। সেগুলো থেকে কিন্তু অনেক ভালো সাড়াও পেয়েছি। নতুন গানের বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। তবে এখনই রেকর্ডিংয়ে সময় দিতে পারছি না। আশা করছি রোজার শুরু থেকেই নতুন গানের রেকর্ডিংয়ে ঢুকে যাবো। এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। সংসার কেমন চলছে? এ গায়িকার উত্তর- বেশ চলছে আমাদের। আমার স্বামী যেহুতু মিউজিশিয়ান তাই একসঙ্গেই এখন সব পরিকল্পনা করি। আমাদের বোঝাপড়াটা খুব ভালো। সবাই দোয়া করবেন যেন এভাবেই আমরা সারা জীবন থাকতে পারি।