সৌদি আরবের রাজপরিবারের তিনজন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে সৌদি বাদশাহ’র ভাইও রয়েছেন। এই তিনজনের মধ্যে অন্তত দুইজন দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম। কিন্তু কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে এই গ্রেপ্তারের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে সৌদি রাজপরিবারের অনেক সদস্য, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীকে রিয়াদের দেশটির রিৎস-কার্লটন হোটেলে আটকে রাখা হয়, কারণ সৌদি যুবরাজ তাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালে যুবরাজ ঘোষণার পর থেকে এই রাজতন্ত্রের দেশটিতে মোহাম্মদ বিন সালমানকে অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়। আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমের খবর অনুসারে, শুক্রবার (৬ মার্চ) সকালের দিকে এসব গ্রেপ্তার চালানো হয়। যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি বাদশাহ’র ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ, সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ এবং রাজকীয় কাজিন প্রিন্স নাওয়াফ বিন নায়েফ। মোহাম্মদ বিন নায়েফ সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০১৭ সালে মোহাম্মদ বিল সালমানের নির্দেশে তাকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এবং গৃহবন্দী করা হয়। ওয়াল স্ট্রির্ট জার্নাল জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীরা মুখোশ ও কালো পোশাক পড়ে রাজপরিবারের এই সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়। ২০১৬ সালে যখন চরম রক্ষণশীল সৌদি আরবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, তখন সেটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল নাগাদ ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ আরো বেশ কিছু কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জন্য ওমরাহ হজ্জ পালন বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব। গভীরভাবে পরিষ্কার করার জন্য গত বৃহস্পতিবার ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা খালি করে ফেলা হয়েছিল।