আবার অনেকে অব্যবহৃত ফ্লপি ডিস্ক বিক্রি করছে চড়া মূল্যে। ফ্লপি ডিস্কের একটা সমস্যা হলো এগুলো আর্দ্র ও শুষ্ক পরিবেশে সংরক্ষণ করতে হয়, তা না হলে এগুলো নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ফ্লপি ডিস্কে যদি ডাটা স্টোর করা না হয়, অব্যবহৃত হয় তবে সেগুলো পুনরায় ব্যবহার করা যায়। আর এই ধরনের ফ্লপি ডিস্ক ‘নতুন’ করে বিক্রি করছেন টম পার্স্কি নামের একজন মার্কিন ব্যবসায়ী। বছরের পর বছর তিনি বেশ লাভজনক ব্যবসা করছেন বর্তমানে প্রায় অচল ফ্লপি ডিস্ক থেকে। তিনি তাঁর ওয়েবসাইট ফ্লপি ডিস্ক ডটকমে এক থেকে প্রায় ১০ ডলার পর্যন্ত দামে বিক্রি করে থাকেন প্রতিটি ফ্লপি ডিস্ক। সারা বিশ্বে রয়েছে তাঁর গ্রাহক। এদের মধ্যে একদল হলো শখের বশে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহারকারী, অনেকটা এস্পেন ক্রাফটের মতো। এদের মধ্যে একদল হলো যাদের এখনো ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করতে হয়। যেমন—শিল্প-কারখানা তাঁর অন্যতম গ্রাহক। এয়ারলাইনসশিল্পে প্রতিবছর তিনি হাজার হাজার ফ্লপি ডিস্ক বিক্রি করেন। কিছু বোয়িং প্লেন এখনো নেভিগেশন এবং এভিওনিক্স কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার আপডেট লোড করতে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করে। যদিও এই পুরনো বিমানগুলো আজকাল ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রে সচরাচর দেখা যায় না। তা ছাড়া কারখানার সরঞ্জামের টুকরা, সরকারি ব্যবস্থা, অ্যানিমেট্রনিক পরিসংখ্যান, যা এখনো ফ্লপি ডিস্কের ওপর নির্ভরশীল।
সান ফ্রান্সিসকোতে মুনি মেট্রো লাইট রেলওয়েতে স্বয়ংক্রিয় রেলব্যবস্থা চালু করতে এখনো ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে। জাপানে কিছুদিন আগে ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। মার্কিন সেনাবাহিনীও ২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করত। কিন্তু সে বছরই তারা নতুন স্টোরেজ ব্যবস্থা চালু করে।