সীমান্তে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া অভিবাসী পরিবার প্রতি ১মিলিয়নের কাছাকাছি অর্থ প্রদান করতে পারে বাইডেনের বিচার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা এবং স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ। ব্যক্তিপ্রতি প্রায় ৪৫০ হাজার ডলার সহায়তা জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে, তবে প্রতিটি পরিবারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এই সংখ্যাটি পরিবর্তিত হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় সীমান্তে আটকে পড়া বহু শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় ট্রাম্পের সময়ে। এমনকি এখনও এক হাজার ৭২৭ জন শিশু রয়েছে যারা ট্রাম্প প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতির অধীনে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এখনও তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হতে পারেনি।
এরই জের ধরে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) ট্রাম্প প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতির বিরুদ্ধে মামলায় একাধিক পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং গত জানুয়ারিতে এক বিবৃতির মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসনকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গে অভিবাসীদের আইনজীবীদের গত কয়েকমাস ধরে আলোচনার পর এমন অর্থসহায়তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে সরকারি আইনজীবীরা সহায়তার পরিমাণকে স্পষ্টতই অতিরিক্ত হিসেবে দেখছেন।
এদিকে জানা গেছে, অভিবাসন সংস্কার নিয়ে বিতর্ক এড়াতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মাধ্যমে লাখো অভিবাসী পরিবার এ সহায়তা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে বাইডেনের প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্ত করে এ খাতে ৫২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পিছিয়ে পড়া অভিবাসন আবেদন হালনাগাদ করা হবে। পারিবারিক অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের ভিসা দ্রুততার সঙ্গে করা হবে। পাশাপাশি অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ ভিসার অব্যবহৃত ভিসা সমন্বয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এসব উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কংগ্রেসে অভিবাসন সংস্কার আইন পাস না করেই লাখো অভিবাসীর জন্য মার্কিন অভিবাসনের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে বলে আশা করা যাচ্ছে।