লন্ডন সফর শেষে সিলেটে ফিরেছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এবারে তার ফেরা অন্যরকম। আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছিল মেয়রকে বরণের। এ কারণে মেয়র আরিফ লন্ডন থেকে ফিরে সিলেটের মাটিতে পা ফেলার পরপরই দেয়া হয় উষ্ণ সংবর্ধনা। গতকাল শতাধিক গাড়ি নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির হন। বেলা তখন আড়াইটা। ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ভিআইডি লাউঞ্জে এসে পৌঁছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বাইরে বের হওয়া মাত্রই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রাজ্জাক, মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ূম জালালী পংকি, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরু, বিএনপি নেতা সাদিকুর রহমানসহ নেতারা তাকে ফুলের মালা দেন। এ সময় মিছিলে মিছিলে বরণ করা হয় আরিফুল হক চৌধুরীকে। বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আরিফ।
প্রশ্নের জবাবে বলেন, আরেকটু অপেক্ষা করুন। সিগন্যাল কী পেয়েছি সময় হলেই বলে দেবো। সবার সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে সিদ্বান্ত জানাবো। এরপর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ওঠেন ছাদখোলা একটি গাড়িতে। দু’হাত নেড়ে তিনি নেতাকর্মী বেষ্টিত অবস্থায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান। আরিফকে বরণকারী গাড়ির বহরটি চৌকিদেখি, আম্বরখানা হয়ে তার কুমারপাড়াস্থ বাসভবনে পৌঁছে। এরপর দিনভর বাসাতেই ছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কোথা বলেননি। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে তিনি সিলেটের জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এবার আওয়ামী লীগ থেকে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে লন্ডন যান বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সেখানে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে তার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। কী কথা হয়েছে কিংবা কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- সেটি লন্ডনেও খোলাসা করেননি আরিফ। বলেছেন দেশে এসে জানাবেন। গতকাল তিনি দুই সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। সিলেটে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দিলেও আরিফ এখনো খোলাসা করেননি। তবে- তার শোডাউন নিয়ে নানা জল্পনা সিলেটে। নির্বাচনের আগে এই শোডাউনের কারণ কী- তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।