উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তাদের সাম্প্রতিক মিসাইল কার্যক্রম হচ্ছে মূলত দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ নৌ মহড়ার জবাব। সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নিজেই এই কার্যক্রমের দেখাশোনা করছেন। গত রোববার দুই সপ্তাহের মধ্যে ৭ম মিসাইল পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এদিন একসঙ্গে দুটো ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে দেশটি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় ব্রোডকাস্টার কেসিএনএ রিপোর্ট করেছে, কিম জন উন নিজেই এই পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো পরমাণু বোমা বহণে সক্ষম। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক স্থাপনা, বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলোতে আক্রমণের জন্য এগুলোকে পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেসিএনএ। এতে বলা হয়েছে, এই মিসাইলগুলো হামলা চালানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। যে কোনো স্থান থেকে বিশ্বের যে কোনো টার্গেটে হামলা চালাতে সক্ষম এই মিসাইলগুলো। শত্রুরা যদিও বারবার আলোচনার কথা বলছে কিন্তু আমাদের আর দর কষাকষির কিছু নেই।
সম্প্রতি যৌথ সামরিক মহড়া করে সিউল ও ওয়াশিংটন।
এর আগে থেকেই একের পর মিসাইল ছুড়ে চলেছে উত্তর কোরিয়া। এরমধ্যে জাপানের উপর দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরেও মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। পাশাপাশি নিজেদের পরমাণু বোমা হামলার সক্ষমতাও যাচাই করে নিয়েছে পিয়ংইয়ং।
রোববার পরীক্ষা চালানো মিসাইলগুলোর একাধিক ছবি প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। এতে দেখা গেছে কিম জং উন সাদা জ্যাকেট পরে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সেখানে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন এমন ছবিও দেখা গেছে। ছবিতে যে মিসাইলগুলো দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে আছে কেএন-২৫ এবং কেএন-২৩। এগুলো স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল।
দক্ষিণ কোরিয়া আশঙ্কা করছে, ২০১৭ সালের পর এ বছরই আবার পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া। ১৯৫০-১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যেকার যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও শেষ হয়নি। সে হিসেবে এখনও যুদ্ধের মধ্যেই আছে দুই দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার তরফ থেকে পরমাণু বোমা ত্যাগের বিনিময়ে শান্তির প্রস্তাব দেয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া।