Thursday, April 18, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAসাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘মিথ্যাবাদী’ : ক্যাপিটল হিলে বক্তৃতায় বাইডেন

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘মিথ্যাবাদী’ : ক্যাপিটল হিলে বক্তৃতায় বাইডেন

তার প্রথম বছরের বেশিরভাগ সময়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাজি ধরেছিলেন যে, তিনি হোয়াইট হাউসে স্বাভাবিকতার বোধ পুনরুদ্ধার করবেন। এবং তিনি যে লোকটিকে ‘সাবেক’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন, সেই ট্রাম্পকে মূলত উপেক্ষা করবেন।

তবে বাইডেনের এই পরিকল্পনা কাজ করেনি। তাই গত বৃহস্পতিবার বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ করার নীতি থেকে সরে আসেন এবং ক্যাপিটলে দেয়া একটি একটি আবেগপ্রবণ বক্তৃতায় সরাসরি তার সমালোচনা করে তাকে সরাসরি ‘মিথ্যাবাদী’ বলে উল্রেখ করেন।
ঠিক এক বছর আগে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবন আক্রমণ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। অভিযোগ, ট্রাম্পের কয়েকটি বক্তৃতা শোনার পরেই উত্তেজিত জনগণ ক্যাপিটল ভবন আক্রমণ করে। ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ১৩০ জন পুলিশ অফিসার আক্রান্ত হন। ক্যাপিটলের ভিতরে ঢুকে তছনছ করে দেয়া হয় সবকিছু। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম এমন হামলার ঘটনা ঘটে। তার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্যাপিটল ভবনেই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ন্যাশনাল স্ট্যাচুরি হলে দেয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালের নির্বাচনে একের পর এক মিথ্যে বলে গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট সরাসরি গণতন্ত্রের উপর হামলা চালিয়েছেন। সমর্থকদের উত্তেজিত করে ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালাতে উৎসাহ দিয়েছেন।’

এখানেই থেমে থাকেননি বাইডেন। ক্যাপিটল ভবনের হামলার জন্য সরাসরি ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘এই প্রথম আমেরিকায় ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় সহিংস পথে হাঁটলেন কোনো প্রেসিডেন্ট। যারা ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল এবং যারা এই ঘটনাকে উসকে দিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের গলায় চুরি ধরেছিল।’ ওই হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করে বাইডেন আরও বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) সহিংসতা এবং একজনের পক্ষে কাজ করার জন্য এসেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে একের পর এক মিথ্যার জাল ছড়ানোর মাধ্যমে ওই হামলার ইন্ধন জোগান। আমাদের গণতন্ত্র বা সংবিধানের চেয়ে তার বাজে অহংকার তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে শুধু দোষারোপ নয়, বাইডেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে সমস্ত মার্কিন নাগরিককে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সে কাজ করতে হবে। বস্তুত, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও একই কথা বলেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অনুরোধ পেশ করেছেন জনগণের সামনে। ক্যাপিটলে হামলার পরে গোটা দেশেই তার প্রভাব পড়ে। নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানও কার্যত লৌহবলয়ের মধ্যে আয়োজিত হয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সে সময় দ্বিতীয়বার ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। একবছর পর ওই দিনের ঘটনার জন্য ট্রাম্পকে আক্রমণ করলেন বাইডেন।

পার্লামেন্টের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার ক্যাপিটলে হামলার বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে কিছু সময়ের জন্য নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয়ে দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির কিছু শীর্ষ নেতা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments