পিঠের চোটে পড়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। শ্রেয়াসের ইঞ্জুরিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কপালে। যেখানে গত কয়েক মৌসুম আইপিএলে কলকাতাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রেয়াস। ভারতীয় এই ব্যাটার চোটে পড়ায় কলকাতার অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাকিব আল হাসানের।
কয়েক দিন আগে সাকিবের নেতৃত্বে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে সাকিবের বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে কোনো সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড গড়ে সাকিবের নেতৃত্বে। শুধু এই সিরিজই নয়, ২০২২ এশিয়া কাপে ভরাডুবির পর সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে। গত এশিয়া কাপের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে খেলেছে ১৪ ম্যাচ, যার ১১টিতে অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। এই ১১ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৫ ম্যাচে ও হেরেছে ৬ ম্যাচে।
সাকিবের নেতৃত্বে হোবার্টে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ বছর পর মূলপর্বে জয় পায় বাংলাদেশ। একই বিশ্বকাপে গ্যাবায় জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়াসমকে দুর্দান্ত এক ডিরেক্ট থ্রোতে তার সেই রানআউটের দৃশ্য অনেকেরই চোখে লেগে আছে। এমনকি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। তবে অ্যাডিলেডে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ায় সুপার টুয়েলভেই শেষ হয় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। পাকিস্তানের বিপক্ষে এক বিতর্কিত লেগবিফোরের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো তরুণদের নিয়ে গড়া দলকে সাকিব দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু এই ১১ ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়কের পারফরম্যান্স ছিল অম্লমধুর। ১১ ম্যাচে ২৬.২২ গড় ও ১৩০.৩৮ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৩৬ রান। বোলিংয়ে ৮.১৭ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৯ উইকেট। তবে ২০২৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করেছেন তিনি। ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪১.৬৬ গড় ও ১৭৪.৪১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৩৭৫। ওভারপ্রতি ৬.৩১ ইকোনোমিতে ১০ উইকেট নিয়েছেন।
কলকাতার অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিন। ২০২২ আইপিএলে কলকাতার জার্সিতে ১৪ ম্যাচে ৩৭.২২ গড় ও ১৭৪.৪৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩৩৫ রান। করেছিলেন একটি ফিফটি। ৯.৮৭ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। আর নারিন ১৩ ম্যাচে ৪১.৬৬ গড় ও ১৭৪.৪১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৩৭৫। ওভারপ্রতি ৬.৩১ ইকোনোমিতে ১০ উইকেট নিয়েছেন। নারিন ১৪ ম্যাচে ৮.৮৮ গড়ে ৭১ রান করলেও স্ট্রাইকরেট ছিল ১৭৭.৫০। বোলিংয়ে ৫.৫৭ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
গত আইপিএলে কোনো দলই পাননি সাকিব। আর এবারের আইপিএলের নিলামে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারকে নেয় কলকাতা। সাকিব, লিটন দুজনকেই ভিত্তিমূল্য দেড় কোটি রুপিতে কেনে কলকাতা। লিটনেরও কলকাতার অধিনায়ক হওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল কয়েক দিন আগে।