অসম্পূর্ণ গত লিগের প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে হারাতে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের। কাল তা হলো না মোটেও। বারিধারা গতবারের মতোই রক্ষণ আঁটসাঁট করে প্রাণপণ লড়ছিল। কিন্তু এখন কিংসের আক্রমণভাগে যে রাউল বেতেরার মতো একজন স্ট্রাইকার আছেন! প্রথমার্ধে সেই রাউলের গোলে এগিয়ে যাওয়া কিংস দ্বিতীয়ার্ধে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের লক্ষ্যভেদে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মাঠ ছেড়েছে ২-০ গোলের জয়ে।
বারিধারা কোচ শেখ জাহিদুর রহমান রক্ষণকাজে পাঁচজন রেখেছিলেন ব্যাকলাইনে। ওপরে তিন মিডফিল্ডার। কিংসের সৃষ্টিশীল ফরোয়ার্ড লাইনকেও তাই সময় নিতে হয়েছে গোল বের করার জন্য। ১৫ মিনিটে জোনাথন ফার্নান্দেজ-রোবিনহো-রাউল ত্রিফলায় প্রথম সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু বুক দিয়ে নামিয়ে শট নেওয়ার আগেই বলটা হারান রাউল। ১৮ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের ক্রসে হেড নিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন, কিন্তু ক্রসবার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ৩৬ মিনিটে সেই হেডেই গোল, বিশ্বনাথের ক্রস বারিধারার এক ডিফেন্ডারের মাথা হয়ে পোস্টের মুখে এলে হেডে তা জালে জড়াতে আর ভুল করেননি রাউল।
বারিধারা সেই গোল শোধের মতো কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি। সমন্বিত আক্রমণের অভাবে ওপরে দুই ফরোয়ার্ড সুমন রেজা ও মোস্তফা মাহমুদ বল পেলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে কিংস প্রতিপক্ষকে বরং আমন্ত্রণ জানায় ওপরে উঠে এসে খেলার জন্য। তাতে ৫৪ মিনিটেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। বারিধারার একটা গোলকিক মিডফিল্ডে ধরে দ্রুত সামনে বাড়ান রাউল, ইব্রাহিম ডিফেন্স লাইন ভেঙে সেই বলই গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন। নতুন মৌসুমে কিংসের স্থানীয় কোনো ফুটবলারের প্রথম গোল এটি। দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচটি পরিবর্তন হলেও চার বিদেশি খেলেছেন পুরোটা সময়।
বাতিল হওয়া গত লিগে প্রকৃত একজন স্ট্রাইকার ছাড়াই খেলতে হয়েছিল কিংসকে। ফেডারেশন কাপের পরই লেবানিজ জালাল কদু বিদায় নিয়েছিলেন। হারনান বার্কোস চলে এলেও তাঁর খেলার কথা ছিল দ্বিতীয় লেগ থেকে। ফলে স্ট্রাইকারহীন হয়ে প্রথম লেগে বেশ ভালোই ভুগেছিল কিংস। বারিধারার বিপক্ষে ৮৬ মিনিটে দানিয়েল কলিনদ্রেসের গোলে জেতা সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণা করে তাই ব্রুজোনও জানিয়েছেন, ‘এবার বড় পার্থক্য স্ট্রাইকার।’
