মুমিনের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি হবে ঈমান। মুমিন মুমিনের ভাই, তারা পরস্পরের অভিভাবক। মুমিন কখনো কোনো অবিশ্বাসীকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে না—এটাই পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। কেননা অবিশ্বাসীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তাকে ধীরে ধীরে ঈমানের পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না, তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিচারকারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। ’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৫১)
বিশ্বাসীদের পরিবর্তে অবিশ্বাসীদের অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার কারণ ঈমানের দুর্বলতা। আল্লাহ বলেন, ‘তারা আল্লাহতে, নবীতে ও তাঁর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান আনলে তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের অনেকে পাপিষ্ঠ। ’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৮১)
একইভাবে অবিশ্বাসীদের সংশ্রব ব্যক্তির ঈমানের ভিতকে দুর্বল করে দিতে পারে। কেননা মানুষ পরস্পরের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, আল্লাহ যে সম্প্রদায়ের প্রতি রুষ্ট তোমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না, তারা তো পরকাল সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছে, যেমন হতাশ হয়েছে অবিশ্বাসীরা কবরস্থাদের বিষয়ে। ’ (সুরা মুমতাহিনা, আয়াত : ১৩)
শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাজ (রহ.) বলেন, ‘অবিশ্বাসীদের ভালোবাসা, তাদের অন্যায় কাজে সাহায্য করা, তাদের সহচর ও বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা কবিরা গুনাহ এবং আল্লাহর সঙ্গে কুফরিতে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যম। আর মুসলমানের বিপক্ষে অমুসলিমদের সাহায্য করা—এটাই (কোরআনে বর্ণিত) বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা। যা এক প্রকার ইসলামদ্রোহিতা। ’ (মাজমুউ ফাতাওয়া : ২৮/২৩৫)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া