এডেলফি ইউনিভার্সিটিতে ড. ইউনূস
সভ্যতার পরিবর্তনে উদ্যোগী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আর্থিক লাভ-লোকসানকেন্দ্রিক বর্তমান সিভিলাইজেশন বা সভ্যতার ইতি টানাবার সময় এসেছে। সত্যিকার মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নতুন সিভিলাইজেশন গড়ে তুলতে হবে। আর এ কাজে নেতৃত্ব দিতে হবে এই সময়ের তরুণদের। তারা যদি সভ্যতার পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে বড় ধরনের বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে নিউ ইয়র্কের এডেলফি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা করেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও সামাজিক ব্যবসা ধারণার জনক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের ইতিবৃত্ত এবং গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পটভূমি নিয়ে কথা বলেন। কীভাবে সনাতনী ব্যাংকিং ধারার বিপরীতে গিয়ে কেবলমাত্র দরিদ্র মানুষকে ঘিরে একটি স্বতন্ত্র ও সফল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে সেই ইতিহাস বর্ণনা করেন তিনি। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির সহায়তায় বাংলাদেশে গড়ে তোলা গ্রামীণ কালেডোনিয়ান কলেজ অফ নার্সিং প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এবং বর্তমান অবস্থা নিয়েও কথা বলেন প্রফেসর ইউনূস।
নিউ ইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে অবস্থিত এডেলফি ইউনিভার্সিটির রুথ এস হার্লে ইউনিভার্সিটি সেন্টারের বলরুমে আয়োজন করা হয় “এন আফটারনুন উইথ প্রফেসর ইউনূস: ক্রিয়েটিং অ্যা ওয়ার্ল্ড অফ থ্রি জিরোস” শিরোনামের এই বক্তৃতা অনুষ্ঠান। হেইজডর্ন লেকচারশিপ অন করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির সহায়তায় এটি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন এডেলফি ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ড. ক্রিস্টিন এম. রিওর্ড্যান এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার কে স্টর্ম।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ নার্সিং অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এর ডিন ডেবোরাহ হান্ট।
প্রায় দেড় ঘণ্টার এ অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূসের বক্তব্য শোনার জন্য ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক আগ্রহী সাধারণ মানুষও সেখানে জড়ো হন। অনুষ্ঠানের শেষদিকে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবও দেন গরিবের ব্যাংকার খ্যাত বাংলাদেশের একমাত্র এই নোবেল জয়ী।