Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeধর্মসব ধরনের জুয়া হারাম

সব ধরনের জুয়া হারাম

সব ধরনের জুয়া হারাম। জুয়া খেলা কবিরা গুনাহ। জুয়া বলতে সেসব খেলাকে বোঝানো হয়, যাতে বাজি কিংবা হার-জিতের প্রশ্ন আছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন, তা হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারির তীর—এসব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। শয়তান তো এটা চায় যে মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৯০-৯১)

ওই আয়াতে জুয়াকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং তা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জুয়ার অনেক নতুন-পুরনো ধরন আছে। নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো—

ক. লটারি বা ভাগ্য পরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোনো সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরস্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এই পন্থা একেবারেই হারাম। চাই ওই লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ পরকালের সওয়াব ইসলামের নিষিদ্ধ কোনো পন্থায় অর্জন করা যায় না।

খ. জাহিলি যুগে ১০ জন লোক একত্রে মিলে একটি উট ক্রয় করত। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করত। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগ নির্ধারণ করে নিত। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেওয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।

গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ, যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এর মাধ্যমে মানুষের কত টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই।

ঘ. সব ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোনো পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কণ্ঠস্বর বীমাও করে থাকেন। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণস্বরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর ক্ষতিসাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেওয়া টাকা থেকে কম, এর সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেক গুণ বেশিও হয়ে থাকে।

চ. জায়েজ বা বৈধ খেলাধুলা খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কারসংবলিত হলে তা-ও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্যই জায়েজ। তবে ইসলামের কোনো ফায়দা আছে—এমন সব খেলাধুলা পুরস্কারসংবলিত হলেও তাতে কোনো অসুবিধা নেই। আর ইসলামবিরোধী খেলাধুলা কোনোভাবেই জায়েজ নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা না-ই থাকুক।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments