শীতলযুদ্ধের সময় কিউবার পক্ষে দুই দশক গোয়েন্দাগিরি করেছিলেন আনা মন্টেস। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে এনালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ধরা পড়ে যান। তাকে পরে জেল দেয়া হয়। কমপক্ষে ২০ বছর জেল খাটার পর তাকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে তার বয়স ৭৩ বছর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
২০০১ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর কর্মকর্তারা বলেন, তিনি কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের পুরো গোয়েন্দা অপারেশনই প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই সময় পর্যন্ত যেসব ক্ষতিকর গোয়েন্দাকে আটক করেছে, তার মধ্যে আনা মন্টেস ছিলেন অন্যতম। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের অধীনে কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মিশেলে ভ্যান ক্লিভ।
তিনি ২০১২ সালে কংগ্রেসে বলেন যে, কার্যত গোপনীয় সব তথ্যই পাচার করেছেন মন্টেস। এর মধ্যে আমরা কিউবা সম্পর্কে যা জানি এবং সেখানে আমরা কিভাবে অপারেশন পরিচালনা করি, তার সবটাই তিনি পাচার করেছেন। তাই আমাদের সব কিছু সম্পর্কে কিউবানরা ছিলেন অবগত।
গ্রেপ্তারের পর মন্টেসকে যুক্তরাষ্ট্রের চারজন গুপ্তচরের পরিচয় কিউবার কাছে সরবরাহের অভিযুক্ত করা হয়। গোপন ম্যাটেরিয়ালের ভাণ্ডার তিনি খুলে দিয়েছিলেন। এ জন্য তাকে পুরো জাতিকে ঝুঁকিতে ফেলার জন্য বিচারক শাস্তি দেন। ২৫ বছরের জেল ঘোষণা করা হয়।