Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeধর্মসন্তানের প্রতি নূহ (আ.)-এর শেষ উপদেশ

সন্তানের প্রতি নূহ (আ.)-এর শেষ উপদেশ

আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বলেন, আমরা একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসে ছিলাম। এরই মধ্যে একজন ব্যক্তি আগমন করল, যার পরিধানে ছিল এক ধরনের মাছ রঙের জুব্বা। সে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাথা বরাবর দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার সঙ্গীরা আরোহীদের অবদমিত করছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন তার জুব্বার বন্ধনস্থল ধরে বলেন, আমি কি তোমাকে নির্বোধের পোশাকে দেখছি না? অতঃপর তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নবী নূহ (আ.) মৃত্যুকালে স্বীয় পুত্রকে অসিয়ত করে বলেন, আমি একটি অসিয়তের মাধ্যমে তোমাকে দুটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি এবং দুটি বিষয়ে নিষেধ করে যাচ্ছি।

নির্দেশ হলো তুমি বলবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। কেননা আসমান ও জমিনের সব কিছু যদি এক হাতে বা পাল্লায় রাখা হয় এবং এটিকে যদি এক হাতে বা পাল্লায় রাখা হয়, তাহলে এটিই ভারী প্রতিপন্ন হবে। সাত আসমান ও সাত জমিন যদি একটি জটিল গ্রন্থির রূপ ধারণ করে তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ তা ভেঙে দেবে। কেননা এটি সব বস্তুর তাসবিহ। এবং এর মাধ্যমেই সব সৃষ্টিকে রিজিক দেওয়া হয়।

আর আমি তোমাকে নিষেধ করে যাচ্ছি দুটি বস্তু থেকে : শিরক ও অহংকার। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! শিরক তো আমরা বুঝলাম। কিন্তু অহংকার কী? আমাদের কারো যদি সুন্দর পোশাক থাকে, আর সে তা পরিধান করে। তবে এতে কি অহংকার হবে? তিনি বলেন, না। সে বলল, তাহলে আমাদের কোনো ব্যক্তির যদি এক জোড়া সুন্দর জুতা থাকে এবং এর দুটি সুন্দর ফিতা থাকে। তা কি অহংকারের আওতায় পড়বে? তিনি বলেন, না। সে বলল, তাহলে আমাদের কোনো ব্যক্তির যদি একটি বাহন জন্তু থাকে, যার ওপর সে আরোহণ করে। তাতে কি অহংকার হবে? তিনি বলেন, না। সে বলল, তাহলে আমাদের কারো বন্ধু-বান্ধব রয়েছে, যাদের সঙ্গে সে ওঠা-বসা করে। এতে কি অহংকার হবে? তিনি বলেন, না। সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তাহলে অহংকার কী?। তিনি বলেন, অহংকার হলো, সত্যকে দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করা ও মানুষকে হেয় জ্ঞান করা। ’ (আদাবুল মুফরাদ হাদিস : ৫৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৫৮৩)

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments