মোছা. শিউলী বিবি। বয়স ৪০ বছরের বেশি। তিনি জেলার রাণীনগর উপজেলার ছয়বাড়িয়া গ্রামের মো. আবির আকন্দের স্ত্রী। বেঁচে থাকলেও ভোটার তালিকায় ছিলেন মৃত। ২০২২ সালে ভোটার হালনাগাদ তথ্যে তার মৃত্যুর বিষয়টি যুক্ত করে দেন তথ্য সংগ্রহকারীরা। ফলে তার ভোটার আইডি কার্ড আর কোনো কাজে আসেনি; এতে চরম বিপাকে পড়েন শিউলী। এমনকি নাগরিক সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন।
এ নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি যুগান্তর অনলাইনে এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি যুগান্তর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার। পরে তিনি নিজ উদ্যোগে শুরু করেন ভোটার তালিকায় শিউলীকে জীবিত করার প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার ভোটার তালিকায় শিউলী বিবিকে জীবিত করা হয়। এরপর শিউলী বিবির ভোটার আইডি কার্ড সচল হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিউলী বিবির নাম ২০২২ সালে হালনাগাদের সময় ভোটার তালিকা থেকে কর্তন হয়। শিউলী জীবিত আছেন সেটি আমার জানা ছিল না। ভোটার তালিকায় নাম পুনর্বহালের জন্য আবেদন এবং যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমি জানতে পারি। এরপর চেষ্টা করি তার নাম পুনর্বহাল করতে। কিন্তু শিউলীর আঙুলের ছাপ না আসায় তাৎক্ষণিক সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। এরপর আমি নিজেই ঢাকা হেড অফিসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। বৃহস্পতিবার হেড অফিস থেকে ভোটার তালিকায় শিউলীকে জীবিত করাসহ তার ভোটার আইডি সচল করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে শিউলী বিবি তার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সব কাজ করতে পারবেন।
শিউলী বিবি বলেন, আমি জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত হয়ে ছিলাম। ফলে আমার ভোটার আইডি কার্ড কোনো কাজে আসছিল না। এতে আমি নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হই।
তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকায় নাম পুনর্বহাল করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কাজ হয়নি। এরপর আমাকে নিয়ে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ভোটার আইডি কার্ডে আমি জীবিত হতে পেরেছি। এজন্য আমি যুগান্তরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে যুগান্তরের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।