এ ব্যাপারে ইমাম বাগাবি (রহ.) বলেন, ‘বাদ্যযন্ত্র হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে উম্মাহর সব ইমামরা একমত। (শারহুস সুন্নাহ : ১২/৩৮৩)
বাদ্যযন্ত্র হারাম হওয়ায় ঐকমত্যের ব্যাপারটি ইমাম কুরতুবি (রহ.)-ও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো শোনা হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোনো মতানৈক্য নেই।
ইমাম সারাখসি (রহ.) বলেন, ‘গান, মৃতের বাড়িতে মাতম, বাজনা, তবলা এবং লাহও জাতীয় কোনো কিছু ভাড়া প্রদান জায়েজ নেই। কারণ এগুলো গুনাহর কাজ। আর গুনাহর কাজের ভাড়া হারাম।’ (আল-মাবসুত : ১৮/৩৯৬)
সালাফদের কাছে বাদ্যযন্ত্র বা তার সদৃশ বস্তুগুলো এতই ঘৃণিত ছিল যে নিচের একটি বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট হয়। বিখ্যাত তাবেঈ হজরত নাফে (রহ.) থেকে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙু্ল দিলেন। কিছুদূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে, এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না, তখন তিনি কান থেকে আঙুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৪৫৩৫)
তবে মনে রাখতে হবে, সালাফ বা ইমামদের ঐকমত্যের বিপরীত যদি কারো বিচ্ছিন্ন মতামত পাওয়া যায়, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বিষয়টি উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।