Wednesday, October 4, 2023
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকশ্রীলঙ্কায় পেট্রোল, ডিজেল পাম্পে দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়েছে সেনাবাহিনী

শ্রীলঙ্কায় পেট্রোল, ডিজেল পাম্পে দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়েছে সেনাবাহিনী

জ্বালানি সরবরাহের স্টেশনগুলোতে অস্বাভাবিক মানুষের ভিড়ে রোববার শ্রীলঙ্কায় দাঙ্গা অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রকাশ্যে গুলি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। কর্মকর্তারা বলেছেন, রোববার পেট্রোল ও ডিজেলের জন্য পাম্পগুলোতে অস্বাভাবিক ভিড় দেখা যায়। ঋণখেলাপি শ্রীলঙ্কার সব স্থানেই একই অবস্থা দেখা দেয়। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী কলম্বো থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার উত্তরে ভিসুভামাদু এলাকায় শনিবার রাতে গুলি করেছে সেনারা। সেনা মুখপাত্র নিলান্থা  প্রেমারত্নে বলেছেন, তাদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারার পর গুলি করা হয়েছে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার জন্য। ২০ থেকে ৩০ জন মানুষ সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং তার বড় রকমের ক্ষতি করে। 

অবনতিশীল অর্থনীতির এই দেশটিতে উত্তেজনা নিরসনের জন্য এবারই প্রথম প্রকাশ্যে গুলি ছুড়েছে সেনারা। পুলিশ বলেছে, পাম্পগুলোতে পেট্রোল ফুরিয়ে যাওয়াতে মোটরযানের চালকরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করেন। এ থেকে পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। জনতা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

 স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধ আমদানির জন্য পর্যাপ্ত ডলার নেই তাদের হাতে। দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশটিতে সবখাতেই শুধু নেই আর নেই। সরবরাহের স্থানগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়। অন্যদিকে অব্যবস্থাপনার কারণে কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করছে বিক্ষোভকারী জনতা। 

পেট্রোল ও ডিজেল স্টেশনগুলোতে অবর্ণনীয় অবস্থা। ফলে এসব স্থানে সশস্ত্র পুলিশ ও সেনাদের মোতায়েন করেছে সরকার। রেশন করে পেট্রোল ও ডিজেল দেয়ার সময় রামবুখানা শহরে সংঘর্ষ হয় এপ্রিলে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন একজন মোটরযানচালক। পুলিশ বলেছে, সর্বশেষ শনিবার রাতে কমপক্ষে তিনটি স্থানে সহিংসতা দেখা দেয়। এ অবস্থা সৃষ্টি করে মোটরচালকরা। সেখান থেকে সাতজন মোটর চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে দু’সপ্তাহের জন্য। সেখানে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুতে ব্ল্যাকআউট দেয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার প্রতি ৫ জনের মধ্যে চারজন খাবার খাচ্ছেন না। এর কারণ তাদের খাবার সংগ্রহের সামর্থ্য নেই। জাতিসংঘ এ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ এক মানবিক সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছে। 

ওদিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি কলম্বোতে প্রায় ২০০০ অন্তঃসত্ত্বা মাকে খাদ্য বিষয়ক ভাউচার বিতরণ শুরু করেছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার থেকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দেয়া হচ্ছে। জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ৬ কোটি ডলার সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments