গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই দম্ভ ও জেদ পরিহার করে পদত্যাগ করুন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর একটি তামাশার নির্বাচনের সুযোগ দেশবাসী দেবে না। এখনো শান্তিপূর্ণ পথে বিদায় নেওয়ার সুযোগ আছে। এ সুযোগ কাজে না লাগালে গণআন্দোলনের পথে লজ্জাজনকভাবেই বিদায় নিতে হবে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।
আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য আকবর খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- সরকার বেসামাল হয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশকে ভয়ংকর অনিশ্চয়তা ও সংঘাত সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর পুরো দায়দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলকেই বহন করতে হবে।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর জনগণের ভোটের অধিকার-গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতেই পছন্দ করে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তনের রাস্তাও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণসংগ্রামে এগিয়ে আসার ডাক দেন নেতারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে আদা, পেঁয়াজসহ অতি আবশ্যক ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়- বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশের বাজারে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। সভার প্রস্তাবে আগামী ৪ থেকে ৭ জুন গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে দিনাজপুর রোডমার্চ সফল করার আহবান জানানো হয়।