মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পয়েন্ট খোয়ালো লিভারপুল। ফুলহামের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছে অলরেডরা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দু’বার পিছিয়ে পড়া লিভারপুলের মান বাঁচান মোহাম্মদ সালাহ ও ডারউইন নুনেস।
শুরুর একাদশে মোহাম্মদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনোর সঙ্গে আক্রমণভাগে লুইস দিয়াজকে রাখেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। ইনজুরি কাটিয়ে গোলমুখে ফেরেন অ্যালিসন বেকারও।
৩২তম মিনিটে আলেকজান্দার মিত্রোভিচের হেডে লিড পায় ফুলহাম। প্রথমার্ধেই গোল শোধ দিতে পারতেন লিভারপুলের লুইস দিয়াস। ৩৯তম মিনিটে তার বাঁ পায়ের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। প্রথমার্ধে লিভারপুলের উল্লেখযোগ্য আক্রমণ বলতে ছিল ওটাই।
দ্বিতীয়ার্ধে থিয়াগো আলকানতারার জায়গায় নামেন হার্ভি এলিয়ট। আর রবার্তো ফিরমিনোর বদলি হিসেবে নামেন অভিষিক্ত ডারউইন নুনেস। ৫৭তম মিনিটে গোল বঞ্চিত হয় ফুলহাম। কেবানোর নেয়া শট অ্যালিসনের গ্লাভ ফাঁকি দিতে পারলেও পোস্টে আঘাত হানে।
এরপর আরো এক পরিবর্তন আনে লিভারপুল। ফাবিনহোকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় জেমস মিলনারকে। এতে খেলার গতি পাল্টে যায় লিভারপুলের।
৬২তম মিনিটে সালাহার ক্রসে নেয়া নুনেসের ব্যাক ঠেকিয়ে দেন ফুলহাম গোলরক্ষক রোডাক স্পিডস। দুই মিনিট পর সালাহর ক্রসে ঠিক একই ভঙ্গিতে গোল আদায় করে নেন নুনেস। প্রিমিয়ার লীগে নিজের প্রথম ম্যাচেই গোল পেলেন তিনি। গোল করেছিলে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে এফএ কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচেও।
সমতায় ফেরে উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে লিভারপুল। ৬৭ ও ৬৯তম মিনিটে আরো দুটি সুযোগ তৈরি করে অলরেডরা। তবে ৭০তম মিনিটে মিত্রোভিচকে ডি-বক্সে ফাউল করে বিপদ ডেকে আনেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে আবার ফুলহামকে এগিয়ে নেন সার্বিয়ান তারকা মিত্রোভিচ।
৮০তম মিনিটে লিভারপুলের সমতা আনেন মোহাম্মদ সালাহ। আলেকজান্ডার আরনল্ডের বাড়ানো লম্বা পাস ডিবক্সে পান নুনেস। জটলার মধ্যেই আলতো টোকায় তিনি বল বাড়ান সালাহকে। মিসরীয় তারকা লক্ষ্যভেদ করেন ঠান্ডা মাথায়। ৯৪তম মিনিটে হেন্ডারসনের দূরপাল্লার শট কাঁপায় ক্রসবার। এরপরই শেষ বাঁশি বাজান রেফারি।