শরীফুল আলম
আমি আজ সমুদ্রের ঢেউ আঁকতে চাইলাম
সে বলল, ওটা ক্ষণিকের আনন্দ,
আমি নিজের ফেলে আসা ছায়া আঁকতে চাইলাম
সে বলল, না, লাল কিম্বা মেজেন্ডা তাঁর খুব প্রিয়
আমি সমুদ্রের গাঙচিল আঁকতে চাইলাম
সে বলল, দুটো মেঘকে একত্র করে দাও
দেখ গাঙচিল হয়ে গেছে।
দূর থেকে তাঁর হৃদয়ের টুংটাং শব্দ শুনি
মেঘের নানা সাঁজের শব্দ, কখনো রিমঝিম
কখনো ছায়া, কখনো মায়া,
আমি তাঁর মুখের কালো তিলটির দিকে চেয়ে থাকি
সামনে ভয়াল সাগর, অস্থির পৃথিবী, মাস্তুলে আগুন
আমি যত উপরে উঠি
যেন ছোট হয়ে যায় আমার ছায়া
আমি চশমা খুলে রাখি আদরের আগে
লং ড্রাইভে যাই, পরনে তাঁর লাল শাড়ি
কপালে লাল টিপ যেন ঝলমল সূর্য
কিশোরী থেকে সদ্য ষোড়শী নারী
বসন্তের বিশুদ্ধ নিয়ম বুঝি আজ তার সাথে।
লাল শাড়ি ভালোবাসা, চোখে আজ তাঁর প্রেমের আশা
তবে কি আজ বসন্ত? সেজেছে সে অনন্ত
ইচ্ছে হয় নিখোঁজ হই তাঁর অন্যতম শহরে,
মুহুর্মুহু বাতাসে তাঁর শাড়ির আঁচল উড়ছে
মনে হয় তাঁকে আজ শান্তির পায়রা
কিম্বা তুলতুলে বিড়ালছানা।
তুমি রঙিন পাখি
আর লাল মানেই তো তাপ, তাপ মানেই শক্তি
লাল মানেই মনোযোগ সৃষ্টি,
সিঁদুরে লাল টিপ
তোমাকে আজ বেশ উৎসব উৎসব লাগছিল,
ফাগুনের রঙ লাল, নীলাভ ব্লাউজ
যেন সূর্য আছড়ে আছড়ে পড়ছিল তোমার বাদামী শরীরে
ইচ্ছে হয় এখনই ডুব দেই তাঁর মনের বনে ফাগুনের আগুনে ।
দ্বৈত লাবণী লবণে বাসা বেঁধেছে সে এই মনে
অথচ ঠিকানা তাঁর আজও জানা হলো না
প্রবল সময়ে বসে ভাবি তাঁর ক্যানভাস
গোলাপ সাঁই সাঁই উড়ে যায় তাঁর দৃশ্যপটে
মনের উচ্ছ্বাস নাপিতের কাঁচির মতো কচকচ করে
একটা ফুরফুরে ভাবের বাজারে,
পাঁচমিশালি হাসি, কত কথার সুখ সে জানে
হাওড়ে বিকেলের পাখিদের মতো।
আমি আমার আয়ুর উল্লাস নিয়ে ভাবছি না
ভাবছি, বাতাসে গতি না থাকলে তেপান্তরের কী হবে?
তবুও সংগত ট্যুর, কস্তুরি ঘ্রাণ
মাঝে মাঝে পোষা বোয়াল লাফ দেয় এই বুকে
দানা দানা বৃষ্টি রূপে।