ভারতের লাদাখে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার পূর্ব লাদাখের ফরওয়ার্ড এলাকাগুলো খতিয়ে দেখে এ কথা বলেছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তিনি বলেন,
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সেনাপ্রধান নারাভানে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি ফের সামান্য উত্তপ্ত রয়েছে। দেশেৎ অখণ্ডতা রক্ষা ও সুরক্ষার স্বার্থে সেখানে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্র জানায়, সেনা প্রধান বৃহস্পতিবার প্যঙ্গেংয়ের দক্ষিণে চুশুল সেক্টরে পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। প্যাঙ্গং লেকের দক্ষিণ দিক নিজেদের অধিকারে রাখার পরে চুশুল সেক্টরের রেকিন পাস ও স্পাঙ্গুর গ্যাপও বর্তমানে ভারতীয় সেনার অধিকারে রয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত।
এছাড়াও লেহ-তে ভারতীয় সেনার ষোড়শ কর্পের হেডকোয়ার্টারেও যান সেনা প্রধান। সেখানেই তাকে নিয়ন্ত্রণরেখার প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করা হয়। এছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে ও পরিস্থিতি ঘধোরাল হলে কী পদক্ষেপ হবে তাও বলা হয়।
সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার লেহতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। জেসিও ও অন্যান্য সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। এই সময় জওয়ানদের মনোবল তুঙ্গে রয়েছে। তাই যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা তৈরি। এই বিষয়ে কোনও রকমের সন্দেহ আমার নেই। আমাদের সেনা সেরা। তাঁরা শুধুমাত্র সেরাই নয়, গোটা দেশকে গর্বিত করবেন।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে একাধিকবার কূটনৈতিক ও সেনার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর কথা হলেও বারংবার প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করছে চিন। গত শনিবার ও সোমবারও প্যাঙ্গং লেকের দক্ষিণে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে লালফৌজ। যদিও সেই আগ্রাসন প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ঘোরাল পরিস্থিতির জন্য বেজিংকেই দায়ী করে নয়াদিল্লি। তবে, সমস্যা সমাধানে এদিন ভারত-চিন আলোচনাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন সেনা প্রধান। সূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস