বেড়াতে যেতে সবাই ভালোবাসে। কিন্তু আপনি কি আপনার আকাঙ্খা পূরণের জন্য নিজের বিমান বানানোর কথা ভেবেছেন? ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার বাসিন্দা অশোক আলিসেরিল থামারাকশান পারিবারিক অবকাশ যাপনের জন্য নিজেই একটি চার আসনের বিমান তৈরি করে ফেলেছেন।
লন্ডনস্থিত অশোক আলিসেরিল আদপে দক্ষিণ ভারতের কেরালার আলাপুঝার বাসিন্দা। তিনি একটি চার আসনবিশিষ্ট বিমান নির্মাণ করেছেন যা সম্পূর্ণ হতে প্রায় ১৮ মাস সময় লেগেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিমানটি তৈরির কাজ শেষ হয়েছিল। তারপর থেকে নিজের হাতে তৈরি বিমানে করে তিনি ইতিমধ্যেই সপরিবারে জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং চেক রিপাবলিক ঘুরে এসেছেন।
ছোট মেয়ে দিয়ার নামানুসারে অশোক বিমানটির নাম রেখেছেন ‘জি-দিয়া’। তিনি জানিয়েছেন বাড়িতে তৈরি বিমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। বিধায়ক এ ভি থামারাকশানের পুত্র, অশোক আলিসেরিল থামারাকশান, পালাক্কাদ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি-টেক ডিগ্রি অর্জনের পর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত হন।
দ্য সান পত্রিকাকে তার স্ত্রী অভিলাশা বলেছেন, “প্রথম লকডাউনের সময় থেকেই আমরা এর জন্য অর্থ সঞ্চয় করা শুরু করেছিলাম। বরাবরই আমরা চাইতাম যে নিজেদের একটা প্লেন হোক। লকডাউনের প্রথম কয়েক মাসে আমরা প্রচুর অর্থ সঞ্চয় করতে পেরেছিলাম। তাই, এই কাজে এগোতে ভরসা পেয়েছিলাম।” পরিবারটি তাদের প্রকল্পটি শেষ করতে ১৮ মাসে ১৪ মিলিয়ন ডলার এবং ১৫০০ ঘন্টা ব্যয় করেছে।
দ্য সানের সাথে তার কথোপকথনে অশোক তার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং যোগ করেছেন, ” একটি নতুন গ্যাজেট কেনার চেয়ে নিজের হাতে কিছু বানানো অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ।” নিজে হাতে একটি আস্ত বিমান তৈরির পরিকল্পনা মাথায় এল কী করে? অশোক থামারাকশান বলেছেন, “২০১৮ সালে আমি পাইলট লাইসেন্স পেয়েছিলাম।
প্রথম দিকে, আমি ভ্রমণের জন্য ছোট দুই-সিটের বিমান ভাড়া করতাম। কিন্তু পরিবার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই আসনের বিমানে আর কাজ হচ্ছিল না। বুঝেছিলাম, পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণে যেতে গেলে একটা চার আসনের বিমান প্রয়োজন। কিন্তু এই ধরনের বিমান খুবই বিরল। তাই, নিজেই একটি এই ধরনের বিমান তৈরি কথা মাথায় আসে।”
সূত্র : wionews.com