Friday, April 19, 2024
spot_img
Homeখেলাধুলারোমাঞ্চকর ফাইনালে ১১ বছরের আক্ষেপ মোচন ইন্টারের

রোমাঞ্চকর ফাইনালে ১১ বছরের আক্ষেপ মোচন ইন্টারের

ইতালিয়ান সিরি’আ কিংবা সুপার কাপ- সব প্রতিযোগিতায়ই ছিল জুভেন্টাসের আধিপত্য। টানা ৯ বছর কোনো শিরোপা অন্য ক্লাবে হস্তগত হতে দেয়নি তুরিনের বুড়িরা। গত বছর সেই ধারায় ছেদ সৃষ্টি করে ইন্টার মিলান, জুভেন্টাসকে হারিয়ে ১১ বছর পর ইতালিয়ান সিরি’আর ট্রফি শোকেজে তোলে নেরাজ্জুরিরা। এবার সুপার কাপেও জুভেন্টাসকে হারালো ইন্টার। আর তাতে শিরোপাটির জন্য ইন্টারের ১১ বছরের অপেক্ষা ঘুচলো।

সান সিরোয় ফাইনাল ম্যাচটি ছিল রোমাঞ্চে মোড়ানো। শুরুতে লিড নেয় জুভেন্টাস। প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে ইন্টার মিলান। ম্যাচ অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে টাইব্রেকারে যাওয়ার উপক্রম, অন্তিম মুহূর্তে দৃশ্যপট পাল্টে দেন অ্যালেক্সিজ সানচেজ।মিলানের চিলিয়ান স্ট্রাইকারের গোলে শিরোপা উৎসবে মেতে ওঠে সান সিরোর স্বাগতিকরা। বুধবার রাতের ফাইনাল ম্যাচটিতে ২-১ গোলে জয় পায় ইন্টার মিলান। এ নিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপের ষষ্ঠ শিরোপার স্বাদ পেলো ইন্টার। ২০২০ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।

২৫তম মিনিটে লিড পায় প্রতিযোগিতার রেকর্ড ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। আলভারো মোরাতার ক্রসে এক ডিফেন্ডারের পায়ে লাগলেও বল গিয়ে পড়ে গোলমুখে, খুব কাছাকাছি থাকা ওয়েস্টন ম্যাককেনি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। ৩৫তম মিনিটে স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ। জেকোকে বক্সে মাত্তিয়া দি সিগলিও ফাউল করলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।

বিরতি থেকে ফিরেই দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে জুভেন্টাস। তবে ৪৯তম মিনিটে ফেদেরিকো বের্নার্দেস্কির নেয়া শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে যায়। ১০ মিনিট পর ইন্টারের ডামফ্রিসের হেড খুঁজে পায়নি ঠিকানা। ৬৯তম মিনিটে মার্টিনেজের প্রচেষ্টা ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি জুভেন্টাস গোলরক্ষক মাত্তিয়া পেরিন। তিন মিনিট পর পেরিসিচের শটও ঠেকিয়ে দেন তিনি।

শেষ দিকে দুদলই দুটি করে বদলি নামায়। ৭৪তম মিনিটে দেজান কুলুসেভস্কিকে তুলে পাউলো দিবালাকে এবং পাঁচ মিনিট পর বের্নার্দেস্কির জায়গায় আর্থারকে নামান জুভেন্টাস কোচ। ৭৬তম মিনিটে মার্টিনেজ ও জেকোর বদলি হিসেবে সানচেজ এবং হোয়াকিন কোররেয়াকে নামায় ইন্টার।

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে দুদলই সমানতালে লড়াই চালিয়ে যায়। গোছালো আক্রমণের চেষ্টায় থাকলেও ফিনিশিংয়ে ব্যর্থ হন দিবালারা। আর ১১১তম মিনিটে কর্নার এক হাতে ফিস্ট করে ইন্টারকে সফল হতে দেননি মাত্তিয়া পেরিন। ম্যাচের ফলাফল যখন প্রায় নিশ্চিত, তখনই ম্যাচে নাটকীয় মোড় দেন সানচেজ। অন্তিম মুহূর্তে দারমেইনের বল পেয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন সানচেজ। জয়সূচক গোল করে ক্ষেপাটে উদ্যাপনে মাতেন চিলিয়ান ফরোয়ার্ড, এমনকি জার্সি খুলে হলুদ কার্ডও দেখেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments