ঘরের মাঠে সহজ সমীকরণ সামনে রেখে সার্বিয়াকে আতিথ্য দেয় পর্তুগাল। ড্র করলেই সরাসরি কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত। সেই লক্ষ্যে প্রথমে লিড নেয়। সেটা ধরে না রাখতে পারেনি। ম্যাচ ড্রয়ের পথে থাকলেও উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পর্তুগিজ সমর্থকরা। স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দিয়ে ম্যাচের শেষ মিনিটে গোল করেন আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ। ২-১ গোলে জয়ে কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে সার্বিয়া। অবিশ্বাস্য হারে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা হলো না পর্তুগালের।খেলতে হবে প্লে-অফ। শেষ দিকে গোল হজমের পর হতাশায় নুয়ে পড়েন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
পুরো ম্যাচে নিজের ছাঢ়া হয়ে ছিলেন রোনালদো। হার যেনো মানতেই পারছিলেন না তিনি। পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের হতাশায় নুয়ে পড়ার ব্যাখা দিয়েছেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তিনি বলেন, ‘রোনালদো সতীর্থদের বলছিল, সে সার্বিয়ার মাঠে শেষ মিনিটে গোল করেছিলো। কিন্তু রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেয়নি। এই কথাগুলোই রোনালদো বলছিল। এই সময়ে আগের ঘটনাকে বড় করে দেখছি না। তবে এটা (রোনালদোর হতাশায় মুষড়ে পড়া) তার বিস্ফোরণ। এরকম হওয়াটা তো স্বাভাবিক।’
রোনালদোর ভগ্ন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ বাড়িয়েছে গত মার্চে সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম লেগের ঘটনা। সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে স্বাগতিকদের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে পর্তুগাল। সেই ম্যাচে জয় নিয়েই ফিরতে পারতো তারা। রোনালদোদের জিততে দেয়নি রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। সেদিন ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে রোনালদোর শট গোললাইন পেরিয়ে যায়। সেখান থেকে বল ক্লিয়ার করেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার স্টেফান মিত্রভিচ। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে, বল গোললাইন পেরিয়ে গেছে। তবে রেফারি গোল দেননি পর্তুগালকে। ভিএআর না থাকায় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ ছিল না। ছিল না গোললাইন প্রযুক্তিও। রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান রোনালদো। শেষ বাঁশি বাজার পর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড মাঠে ছুড়ে ফেলেন। রাগে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছাড়েন তিনি।
বাছাইপর্বে ইউরোপের ১০ গ্রুপের রানার্সআপের প্রত্যেককেই খেলতে হবে প্লে-অফ। এই ১০ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে নেশনস লীগের দুই গ্রুপ বিজয়ী দল। এই দুই দল নির্বাচিত হবে নেশনস লীগের সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ের ওপর, যারা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজ নিজ গ্রুপের শীর্ষ দুই দল হতে পারেনি। এই ১২ দলকে নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে প্লে-অফ।