খাঁ খাঁ করছে দিঘা। রবিবার যে সৈকতশহর ছিল পর্যটকদের কোলাহলে ভরপুর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে নামল নীরবতা। সোমবার সকালে দিঘার ছবি দেখে অনেকেই লকডাউনের দিনগুলোর কথা স্মরণ করছেন।
ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা নেই, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাকি অংশের মতোই দিঘাও ছিল রোদ ঝলমলে। সেই সঙ্গে উত্তরে হাওয়া। বর্ষবরণের সময় থেকেই পর্যটকরা ভিড় করেছিলেন সেখানে। কিন্তু সব ভেস্তে দিল রবিবারের ঘোষণা। ঘোষণা শোনামাত্রই দিঘা ছাড়তে শুরু করেন অনেকেই। সোমবার সকালেও সেই পর্ব চলেছে। ফলে এক লাখেরও বেশি পর্যটক যেখানে জড়ো হয়েছিলেন সেই এলাকা এখন খাঁ খাঁ করছে। মাত্র এক দিন আগেও যেখানে প্রচণ্ড ভিড় ছিল, সে জায়গা এখন জনশূন্য। হাতে গোনা কয়েকজন পর্যটক অবশ্য রয়ে গেছেন। তবে তাঁরা প্রশাসনের কড়াকড়িতে সৈকতের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। অনেকে রবিবার এসেছিলেন দিঘায় কটা দিন কাটানোর জন্য। তাঁরাও হোটেল ছেড়ে সোমবার সকালেই বাড়িমুখো হন। অনেকে আবার সপ্তাহব্যাপী হোটেলে থাকার জন্য আগাম বুকিং দিয়েছিলেন, সেটিও আপাতত বাতিল।
রাজ্যের ঘোষণা মতে সোমবার সকাল থেকেই জারি হয় বিধি-নিষেধ। যেখানে স্পষ্ট করেই পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে হোটেলে পর্যটক আসতে পারবেন না এমন কোনো নির্দেশনা নেই। তার জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে পর্যটক থেকে হোটেল ব্যবসায়ী সকলের মধ্যেই। জেলা প্রশাসন অবশ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমুদ্রপারে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধি-নিষেধ চলবে। পরিস্থিতি না বদলালে প্রশাসন আরো কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সূত্র : আনন্দবাজার