বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৯৪ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণের রেকর্ড। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন ২ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
এতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ লাখ ৭১ হাজার মানুষ। সব থেকে ভয়াবহ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখের বেশি মানুষ। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার জন। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। ১৩০ কোটি মানুষের দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৬ লাখ মানুষ। দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধলক্ষ।
এ ছাড়া, সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, পেরু ও কলম্বিয়া। প্রথমদিকে ইউরোপ করোনার হটসপটে পরিণত হলেও এখন দুই আমেরিকা মহাদেশে এর সর্বোচ্চ সংক্রমণ হচ্ছে। করোনার সব থেকে বেশি সংক্রমণ হয়েছে লাতিন আমেরিকায়। পুরো মহাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ লাখ মানুষ। অপরদিকে উত্তর আমেরিকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ লাখের বেশি মানুষ। দুই মহাদেশে মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন যথাক্রমে ২ লাখ ৪০ হাজার ও ১ লাখ ৮০ হাজার জন।
এখন পর্যন্ত করোনার একমাত্র ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ছাড়াই একে অনুমোদন দেয়ায় এই ভ্যাকসিন সবার জন্য নিরাপদ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ভ্যাকসিন সমপর্কে বেশি কিছু জানে না। তবে সব সমালোচনার মধ্যেই ভ্যাকসিন উৎপাদনে গিয়েছে রাশিয়া। এরইমধ্যে এর প্রথম দফা উৎপাদন সমপন্ন হয়েছে। এটি দেয়া হবে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীদের। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে ভ্যাকসিন উৎপাদনে যাবে দেশটি। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে বৃটেনের অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনকে বলা হচ্ছে সব থেকে বেশি আশাব্যঞ্জক ভ্যাকসিন। এরইমধ্যে ১০ কোটি ডোজের অর্ডার পেয়েছে এই ভ্যাকসিন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশও এই ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণের পর দ্রুত সরবরাহ পেতে চুক্তি করেছে। এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে।