Wednesday, March 22, 2023
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকরাশিয়ায় পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করছে চীনা কোম্পানিগুলো

রাশিয়ায় পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করছে চীনা কোম্পানিগুলো

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ইতিহাসের যে কোনো সময়ের থেকে দারুণ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক উভয় দিকেই দেশ দুটি এখন একে অপরের পরম মিত্রে পরিণত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পশ্চিমা দেশগুলো যখন রুশ জ্বালানির উপরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে, তখন চীনের কাছে বিক্রি বাড়িয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া। আবার রাশিয়া থেকে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ায় সুবিধা হয়েছে চীনের। চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন ক্রমশ দখল করে নিচ্ছে রাশিয়ার বাজার। সব মিলিয়ে দুই দেশের বাৎসরিক বাণিজ্য এখন ২০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়া ও চীনের মধ্যেকার এই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বেইজিং-এ নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ইগোর মোরগুলভ। চীনের সিসিটিভি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শনিবার তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক এখন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, পশ্চিমা কোম্পানিগুলো চলে যাওয়ায় রাশিয়ার বাজারে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করছে চীনা কোম্পানিগুলো। 

ইগোর বলেন, আমরা রাশিয়ায় চীনের রপ্তানি বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাই। তারা নানা যন্ত্রপাতি এবং অত্যাধুনিক পণ্য সরবরাহ করছে।

ফলে পশ্চিমা কোম্পানির ফাঁকা করে যাওয়া শূন্যস্থান আমাদের চীনা বন্ধুরা পূরণ করতে পারছে। চীন থেকে এখন কম্পিউটার, সেল ফোন এবং গাড়ি আমদানি করছে রাশিয়া। ফলে এখন দিন দিন রাশিয়ার রাস্তায় আরও বেশি চীনা গাড়ি দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও রাশিয়ায় চীনা রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ভাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি আমি। 
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রাশিয়ার পণ্যগুলিও চীনের বাজারে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিংয়ে আমার চার মাস থাকার পর, আমি বলতে পারি যে চীনাদের মধ্যে রাশিয়া থেকে আমদানি হওয়া খাদ্য পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এটা সত্যিই সন্তোষজনক। তবে চীন যত কৃষিপণ্য আমদানি করে তার ২ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। এটি সন্তোষজনক নয়। আমি নিশ্চিত যে, রাশিয়া তেলবীজ, শস্য, মাংস এবং মৎস্যজাত পণ্যসহ বহু কৃষি পণ্য সরবরাহ করতে পারে। কৃষির পাশাপাশি কাগজ, রাসায়নিক ও সারের ক্ষেত্রেও চীন বড় বাজার হতে পারে। এতে রাশিয়ার রপ্তানি আয়ও বহু বৃদ্ধি পাবে। 

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর নিষেধাজ্ঞার চাপে এক হাজারেরও বেশি পশ্চিমা কোম্পানি রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে চীন ও ভারতের জন্য রাশিয়ার বাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আবার চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনাও বৃদ্ধি করেছে। রাশিয়ার জ্বালানির সবথেকে বড় ক্রেতা হতে চীন ও ভারত প্রতিযোগিতা করছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments