‘মহানবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের প্রত্যাশায় রমজান মাসে কিয়ামুল্লাহল করে তার জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়’। (সহীহুল বুখারী)
দিনভর রোজা রাখার পর ক্লান্ত শরীরে মানুষ যখন রবের সামনে কিয়ামুল্লাইলে দাঁড়ায় তখন তার মনে এক প্রশান্তির ঢেউ খেলে যায়। ক্ষমা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় তখন দিনের ক্ষুধা-পিপাসার কথা মনে থাকে না। সন্ধ্যায় যৎসামান্য যাই মেলে তা দিয়েই ইফতার সেরে আল্লাহর শুকরিয়াস্বরূপ দোয়া করে, ‘যাহাযযমাউ অবতাল্লাতিল উরুক ওয়া সাবাতাল আজরু ইং শা আল্লাহ। অবসাদ দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরা সজিবতা লাভ করেছে এবং মজুরীর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আল্লাহ চাহে তো’।
এক কঠিন রমজান পার করছেন আফগানিস্তানের মুসলিমরা। অর্থ-খ্যদ্য সঙ্কটে তারা কীভাবে সুহূর করে, কীভাবে ইফতার করে তা অবশিষ্ট বিশ্বের জানা নেই। তবু উচ্চবাচ্য নেই তাদের। যৎসামান্য খাদ্যই তাদের জীবনকে করে তুলেছে প্রশান্তিময়। আর তার শুকরিয়া আদায়ে তারা কিয়ামুল্লাইলে আল্লাহর কাছে নিজেদের সোপর্দ করে দেয়, সিজদাবনত হয়। ছবিটি আফগানিস্তানের ওয়াজিরে আকবর মসজিদের।