অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি সন্তানসম্ভাবনা নারীকে রোজা পালনে নিষেধ করে থাকেন, তাহলে ওই নারীর জন্য রোজা না রাখার অবকাশ আছে। সন্তান প্রসবের পর সুস্থতা লাভ করলে এই রোজা কাজা করে নিতে হবে। এর জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে না।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, রোজা অবস্থায় শিশুকে দুধ পান করালে রোজা ভঙ্গ হবে কি? রোজা অবস্থায় শিশুকে বুকের দুধ পান করালে রোজা ভঙ্গ হয় না।
(ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৬/৪০৮)
যে মায়েরা বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায়, যদি অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে রোজা রাখার কারণে মা অথবা বাচ্চা কারো ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকতে পারবে। তবে পরবর্তী সময় ওই রোজাগুলো কাজা করে নিতে হবে।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম : ৬/২৮৯)
নেফাজওয়ালা (সন্তান প্রসবকারী) নারী যদি ৪০ দিন হওয়ার আগেই পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে রোজা রাখবে। তবে নামাজের জন্য গোসল করে নেবে। আর যদি ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও রক্ত চলমান থাকে, তাহলে সে রোজা রাখবে এবং গোসল করে নেবে। কেননা তার রক্ত ইস্তেহাজা (রোগ) হিসেবে গণ্য করা হবে। (বেহেশতি জেওর, পৃষ্ঠা ১৬০; শরহে বেকায়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ১২০)
অনেক মায়ের সিজারের প্রভাবে খালি পেটে থাকলেই পেটে ব্যথা হয়। ফলে তারা রোজা রাখতে পারে না। সে ক্ষেত্রে তারা প্রতি রমজান শুরু হলেই রোজার ফিদিয়া দিয়ে দিতে পারে। তবে কখনো সুস্থতা ফিরে এলে অবশ্যই সব রোজার কাজা করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৫/৪৫৬)