Wednesday, October 4, 2023
spot_img
Homeনির্বাচিত কলামরডের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি

রডের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি

নিত্যপণ্যের মূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে রডের দামও। গ্রাহকদের জিম্মি করে ইচ্ছামতো বাড়ানো হচ্ছে রডের দাম।

অবাক কাণ্ড, এক মাসের ব্যবধানে ৬০ গ্রেডের রডের দাম টনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৪ হাজার টাকা। ওদিকে রডের মূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সিমেন্টের দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিমেন্টের দাম প্রতি ব্যাগে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিশ্ববাজারে রড তৈরির কাঁচামালের দামবৃদ্ধির কারণে রডের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।

এই যুক্তি ধোপে টেকে না। রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ও ক্রেতারা বলছেন, আসলে আসন্ন বাজেটে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কাছে ভর্তুকি চায়। এজন্য সুকৌশলে রডের বাজারে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে তারা। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কথা বলে রডের মূল্য বাড়ানো হলেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে, রড তৈরির কাঁচামাল যুদ্ধের আগেই আনা হয়েছে। যুদ্ধটাকে দেখানো হচ্ছে অজুহাত হিসাবে। বস্তুত এটাই হলো আমাদের দেশের বাজার সংস্কৃতি। কোনো ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর সুযোগ নিয়ে থাকেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বলা নিষ্প্রয়োজন, রডের দামবৃদ্ধির কারণে আবাসন খাত ও অন্যান্য নির্মাণ খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যে শুধু বেসরকারি উন্নয়ন খাতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা নয়, সরকারি বহু উন্নয়ন কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এক কথায় বলা যায়, দেশে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে, অনেক মেগা প্রকল্পসহ অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় রডের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি উন্নয়ন প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক। একইসঙ্গে অবকাঠামো ও নির্মাণ খাত সংশ্লিষ্টরা পড়েছেন মহাবিপদে। তারা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এমতাবস্থায় সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। কোনো কারণ ছাড়াই সিন্ডিকেট চক্র গ্রাহকদের জিম্মি করবে, এটা হতে পারে না। শুধু রড নয়, সিমেন্টের দামও কেন বাড়ছে, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা আশা করব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতি দ্রুত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে এবং রডের মূল্যবৃদ্ধির এই অস্বাভাবিক প্রবণতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments