Sunday, October 1, 2023
spot_img
Homeধর্মরওজায় উঁচু আওয়াজ নিষিদ্ধ

রওজায় উঁচু আওয়াজ নিষিদ্ধ

হজপালনের জন্য বিভিন্ন দেশের হাজিরা সৌদি আরবে সমবেত হচ্ছেন। তাদের অনেকেই নবীজি (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করতে মদিনায় অবস্থান করছেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা জিয়ারতের ক্ষেত্রে তার সম্মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ইমান আনো এবং রাসুলকে শক্তি জোগাও ও তাকে সম্মান করো; সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।’ সুরা ফাতহ : ৮-৯

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে আওয়াজ উঁচু করা নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলো তার সঙ্গে তেমন উচ্চৈঃস্বরে কথা বলো না। কেননা এতে তোমাদের আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে তোমাদের অজ্ঞাতসারে।’ সুরা হুজরাত : ২

আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, নবী (সা.)-এর কবরে আওয়াজ উঁচু করা নিষিদ্ধ, যেমন নিষিদ্ধ ছিল তার জীবনকালে। কেননা তিনি মৃত্যুর আগে ও পরে সর্বাবস্থায় সম্মানিত। তাফসিরে ইবনে কাসির : ৭/৩৬৭

আল্লামা শিনকিতি (রহ.) বলেন, জীবনকালের মতোই মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্মান রক্ষা করা অপরিহার্য। সুতরাং বর্তমানে রাসুলে আকরাম (সা.)-এর দরবারে মানুষ যেভাবে দৃষ্টিকটু ভিড় করে, তাড়াহুড়া ও ছোটাছুটি করে, আওয়াজ উঁচু করে তার সবই নাজায়েজ এবং তার সম্মানের পরিপন্থি। হজরত ওমর (রা.) মসজিদে নববিতে আওয়াজ উঁচুকারী দুই ব্যক্তির সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করেছিলেন। আদওয়াউল বয়ান : ৭/৪০৩

শায়খ বিন বাজ (রহ.) বলেছেন, রওজায়ে আতহারে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা, বারবার সালাম দিতে থাকা, ভিড় করে থাকা অনুচিত। কেননা তা নবীজি (সা.)-এর সম্মানের পরিপন্থি কাজ। মাজমাউ ফাতাওয়া : ১৬/১০৮

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments