সারা দেশের যেসব জেলা ও উপজেলা শহরে সিনেমা হল নেই সেসব জেলা-উপজেলার শিল্পকলা একাডেমি কিংবা অডিটরিয়ামে বাংলা সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরী। নিজের ফেসবুকে এমন একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে তিনি মনে করছেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্র দেখার আগ্রহের কমতি নেই দেশের মানুষের। ’
বাপ্পী বলছেন, ‘এ দেশের সাধারণ মানুষ যে বাংলা চলচ্চিত্র দেখতে চায় তা আরো স্পষ্ট করল জামালপুর ও স্টার সিনেপ্লেক্স।
সেখানে সিনেমা হল নেই, কিন্তু মানুষের সিনেমা দেখার উৎসাহের কমতি ছিল না। স্টার সিনেপ্লেক্সে লাইন ধরে সিনেমার টিকিট কিনেছে মানুষ। ’
এই ঈদে বাংলা ছবির দর্শক-শ্রোতাদের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে বাপ্পী নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘করোনার পর এ দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন স্থবির হয়ে গিয়েছিল। ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ দিয়ে হলে দর্শক ফিরতে শুরু করেছে। আমরা মনে করি সিনেমা হলে একটি শ্রেণির দর্শক আসে। হয়তো ওই একটি শ্রেণিকেই আমরা লক্ষ করি। কিন্তু আমাদের সারা দেশের সব শ্রেণির মানুষ যে বাংলা সিনেমা দেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে তা এই ঈদে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠল। ’’
জামালপুরে ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনী ফের চালু করার দাবি জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘জামালপুরে তিনটি অডিটরিয়ামে ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনী চলছিল। সেটা বন্ধ হয়েছে। আমার অনুরোধ স্থানীয়ভাবে এই প্রদর্শনী আবার চালু করা হোক। শুধু জামালপুর নয়, যেসব জেলা উপজেলায় সিনেমা হলো নেই- যত দিন পর্যন্ত আধুনিক সিনেমা প্রতি জেলা উপজেলায় নির্মিত না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত প্রশাসনের সহযোগিতায় ও স্থানীয় উদ্যোগে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন অডিটরিয়ামে এভাবেই সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা চালু হোক। মানুষ বাংলা সিনেমা দেখতে চায়, দর্শকদের সে সুযোগ তৈরি করে দেওয়া উচিত। ’’
জামালপুরের অডিটরিয়ামে ‘গলুই’ ছবির প্রদর্শনী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্মাতা এস এ হক অলিক। পরিচালক জানান, জামালপুরের মূল প্রদর্শনী ক্ষেত্রটিও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অডিটরিয়ামগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে অর্থাৎ ১৯১৮ সালে প্রণীত একটি আইনকে সামনে টেনে এনেছেন জেলা প্রশাসক। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
নির্মাতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোকলেসুর রহমান সোমবার দুপুরে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘চলচ্চিত্র বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা আমরা দিইনি। কারণ সেখানে আমাদের বলার কিছু নেই। সিনেমা চললে চলবে, আমাদের অনুমতি দেওয়া বা বন্ধ করতে বলার কোনো কারণই ঘটেনি। ’