তাঁদেরকে শিআবে আবি তালিবের গিরিখাতে বন্দি করা হয়েছিল।
তিনি তাঁদের অন্তরগুলো এভাবে প্রশান্ত করেছিলেন যে তাঁর পাশে থাকার কারণে যে যাতনা ভোগ করতে হয়েছিল, তাঁরা তা তুচ্ছ মনে করেছিলেন। তিনি তাঁদের ভেতর হিদায়াতের আলো দ্বারা আলোকিত করেছিলেন। তিনি তাঁদের থেকে অজ্ঞতার বোঝা, মূর্তিপূজার বিকৃত রুচি এবং বহু-ঈশ্বরবাদের কুফল দূর করে দিয়েছিলেন। এভাবে তাঁদের দেহ-মন প্রশান্ত হয়েছিল ও তাঁদের আত্মা শান্তি পেয়েছিল। ফলে তাঁরা নবী কারিম (সা.)-এর সঙ্গে থেকে জীবনের স্বাদ উপলব্ধি করেছেন এবং তাঁরা তাঁর সাহচার্যে পুলক বোধ করেছিলেন। যেমনটি পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের ওপর যে বোঝা ও শৃঙ্খল ছিল, তিনি তাদের থেকে তা সরিয়ে দেন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তিনি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের দিকে আহবান করেন, যা তোমাদের প্রাণসঞ্চার করে তখন তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আহ্বানে সাড়া দিও।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত :২৪)
হে আল্লাহ! বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর করুণা ও শান্তি বর্ষণ করুন এবং তাঁর মহান সাহাবিদের সংগ্রাম ও প্রচেষ্টার প্রতিদানস্বরূপ তাঁদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। আমিন।
‘লা তাহজান’ থেকে মো. আবদুল মজিদ মোল্লার সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর